10. ভাইয়েরা, যে নবীরা প্রভুর পক্ষ হয়ে কথা বলেছেন, কষ্টের সময়ে কিভাবে তাঁরা ধৈর্য ধরতেন সেই কথা চিন্তা করে দেখ।
11. যাঁরা ধৈর্য ধরে সহ্য করেছেন তাঁদের আমরা ধন্য বলি। তোমরা ইয়োবের ধৈর্যের কথা শুনেছ এবং প্রভুর কাজের শেষ ফল যে ভাল তা-ও দেখেছ। প্রভুর করুণা ও মমতার শেষ নেই।
12. আমার ভাইয়েরা, আমি বিশেষভাবে এই কথা বলি, তোমরা স্বর্গ, পৃথিবী বা অন্য কোন জিনিসের নামে শপথ কোরো না। তার চেয়ে বরং তোমাদের “হ্যাঁ,” “হ্যাঁ”-ই হোক এবং “না,” “না”-ই হোক, যেন তোমরা বিচারের দায়ে না পড়।
13. তোমাদের মধ্যে কেউ কি কষ্টভোগ করছে? সে প্রার্থনা করুক। কেউ কি সুখী?
14. সে প্রশংসা-গান করুক। কেউ কি অসুস্থ? সে মণ্ডলীর প্রধান নেতাদের ডাকুক। তাঁরা প্রভুর নামে তাঁর মাথায় তেল দিয়ে তার জন্য প্রার্থনা করুন।
15. বিশ্বাসপূর্ণ প্রার্থনা সেই অসুস্থ লোককে সুস্থ করবে; প্রভুই তাকে ভাল করবেন। সে যদি পাপ করে থাকে তবে ঈশ্বর তাকে ক্ষমা করবেন।
16. এইজন্য তোমরা একে অন্যের কাছে পাপ স্বীকার কর এবং একে অন্যের জন্য প্রার্থনা কর, যেন তোমরা সুস্থ হতে পার। ঈশ্বরের ইচ্ছামত যে চলে তার প্রার্থনার জোর আছে বলে তা ফল দেয়।
17. এলিয় আমাদের মতই একজন মানুষ ছিলেন। তিনি আকুল ভাবে প্রার্থনা করলেন যেন বৃষ্টি না হয়, আর সাড়ে তিন বছর দেশে বৃষ্টি হয় নি।
18. পরে তিনি আবার প্রার্থনা করলেন; তখন আকাশ থেকে বৃষ্টি পড়ল আর মাটিতে ফসল হল।
19. আমার ভাইয়েরা, তোমাদের মধ্যে যদি কেউ সত্য থেকে দূরে সরে যায় আর তোমরা কেউ তাকে ফিরিয়ে আন,
20. তবে এই কথা জেনে রেখো-যদি কেউ একজন পাপীকে ভুল পথ থেকে ফিরিয়ে আনে তবে সে তাকে মৃত্যু থেকে রক্ষা করে এবং অনেক পাপ ঢেকে রাখে।