4. অবিশ্বস্ত লোকেরা! তোমরা কি জান না, জগতের বন্ধু হওয়া মানে ঈশ্বরের শত্রু হওয়া? সেইজন্য যে কেউ জগতের বন্ধু হতে ইচ্ছা করে সে নিজেকে ঈশ্বরের শত্রু করে তোলে।
5. তোমরা কি মনে কর যে, পবিত্র শাস্ত্র মিথ্যাই এই কথা বলে যে, পবিত্র আত্মা, যাঁকে ঈশ্বর আমাদের অন্তরে দিয়েছেন, তিনি আমাদের ভক্তি পাওয়ার জন্য আগ্রহের সংগে অপেক্ষা করে আছেন?
6. কিন্তু ঈশ্বরের দয়া আরও বেশী। সেইজন্য শাস্ত্রে লেখা আছে, “ঈশ্বর অহংকারীদের বিরুদ্ধে দাঁড়ান, কিন্তু নম্রদের দয়া করেন।”
7. এইজন্য ঈশ্বরের অধীনে থাক। শয়তানকে রুখে দাঁড়াও, তাহলে সে তোমাদের কাছ থেকে পালিয়ে যাবে।
8. ঈশ্বরের কাছে এগিয়ে যাও, তাহলে তিনিও তোমাদের কাছে এগিয়ে আসবেন। পাপীরা, তোমরা নিজেদের শুচি কর। দু’মনা লোকেরা, তোমাদের অন্তর খাঁটি কর।
9. দুঃখে ভেংগে পড় এবং শোক কর ও কাঁদ। তোমাদের হাসির বদলে শোক প্রকাশ কর এবং আনন্দের বদলে দুঃখ কর।
10. প্রভুর সামনে নিজেদের নীচু কর, তাহলে তিনিই তোমাদের তুলে ধরবেন।
11. ভাইয়েরা, তোমরা একে অন্যের নিন্দা কোরো না। যে কেউ ভাইয়ের বিরুদ্ধে কথা বলে বা ভাইয়ের দোষ খুঁজে বেড়ায় সে আইন-কানুনের বিরুদ্ধে কথা বলে এবং আইন-কানুনের দোষ খুঁজে বেড়ায়। যদি তুমি আইন-কানুনের দোষ খুঁজে বেড়াও তবে তো তুমি তা পালন করছ না বরং তার বিচার করছ।
12. মাত্র একজনই আছেন যিনি আইন-কানুন দেন ও বিচার করেন। তিনিই রক্ষা করতে পারেন এবং ধ্বংস করতে পারেন। তুমি কে যে তোমার প্রতিবেশীর দোষ খুঁজে বেড়াচ্ছ?
13. তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ বলে থাকে, “আজ বা কাল আমরা অমুক শহরে গিয়ে এক বছর কাটাব এবং সেখানে ব্যবসা করে লাভ করব।”