7. মানুষ সব রকম পশু, পাখী, বুকে-হাঁটা প্রাণী ও সাগরের প্রাণীকে দমন করে রাখতে পারে এবং রেখেছে,
8. কিন্তু কোন মানুষ জিভ্কে দমন করে রাখতে পারে না। ওটা অস্থির ও মন্দ এবং ভয়ংকর বিষে ভরা।
9. এই জিভ্ দিয়ে আমরা আমাদের প্রভুর, অর্থাৎ পিতা ঈশ্বরের গৌরব করি, আবার এই জিভ্ দিয়ে তাঁর মত করে গড়া মানুষকে অভিশাপ দিই।
10. আমাদের একই মুখ দিয়ে গৌরব আর অভিশাপ বের হয়ে আসে। আমার ভাইয়েরা, এই রকম হওয়া উচিত নয়।
11. একই জায়গা থেকে বের হয়ে আসা স্রোতের মধ্যে কি একই সময়ে মিষ্টি আর তেতো জল থাকে?
12. আমার ভাইয়েরা, ডুমুর গাছে কি জলপাই ধরে? কিম্বা আংগুর লতায় কি ডুমুর ধরে? তেমনি করে নোনা জলের মধ্যে মিষ্টি জল পাওয়া যায় না।
13. তোমাদের মধ্যে জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান কে? সে তার সৎ জীবন দিয়ে জ্ঞান থেকে বের হয়ে আসা নম্রতা-ভরা কাজ দেখাক।
14. কিন্তু তোমাদের অন্তর যদি হিংসায় তেতো হয়ে ওঠে এবং স্বার্থপরতায় ভরা থাকে তবে জ্ঞানের গর্ব কোরো না, সত্যকে মিথ্যা বানায়ো না।
15. এই রকম জ্ঞান স্বর্গ থেকে নেমে আসে না, বরং পৃথিবীর, মন্দ ইচ্ছার এবং মন্দ আত্মাদের সংগেই তার সম্বন্ধ;
16. কারণ যেখানে হিংসা ও স্বার্থপরতা থাকে সেখানেই গোলমাল ও সব রকমের অন্যায় থাকে।
17. কিন্তু যে জ্ঞান স্বর্গ থেকে আসে তা প্রথমতঃ খাঁটি, তারপর শান্তিপূর্ণ; তাতে থাকে সহ্যগুণ ও নম্রতা; তা করুণা ও সৎ কাজে পূর্ণ, স্থির ও ভণ্ডামিশূন্য।
18. যারা শান্তির চেষ্টা করে তারা শান্তিতে বীজ বোনে এবং তার ফল হল সৎ জীবন।