4. তাহলে তোমরা নিজেদের মধ্যে কি ছোট-বড় ভাবের সৃষ্টি করছ না এবং মন্দ উদ্দেশ্য নিয়ে বিচার করছ না?
5. আমার প্রিয় ভাইয়েরা, শোন। এই জগতের চোখে যারা গরীব, বিশ্বাসে ধনী হবার জন্য ঈশ্বর কি তাদের বেছে নেন নি? যারা ঈশ্বরকে ভালবাসে তাদের তিনি যে রাজ্য দেবার প্রতিজ্ঞা করেছেন সেই রাজ্যের অধিকারী হবার জন্য এই গরীব লোকদের কি তিনি বেছে নেন নি?
6. অথচ সেই গরীর লোকদেরই তোমরা অপমান করেছ। কিন্তু ধনী লোকেরাই কি তোমাদের কষ্ট দেয় না এবং আদালতে টেনে নিয়ে যায় না?
7. যাঁর নাম অনুসারে তোমাদের ডাকা হয় ধনীরা কি সেই সম্মানিত নামের নিন্দা করে না?
8. পবিত্র শাস্ত্রে লেখা আছে, “তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মত ভালবাসবে।” তোমরা যদি সত্যিই খ্রীষ্টের রাজ্যের এই আইন মেনে চল তবে ভালই করছ।
9. কিন্তু তোমরা যদি সবাইকে সমান চোখে না দেখ তবে তোমরা পাপ করছ। এই আইনই তখন তোমাদের আইন-অমান্যকারী বলে দোষী করে।
10. যে লোক সমস্ত আইন-কানুন পালন করেও মাত্র একটা বিষয়ে পাপ করে সে সমস্ত আইন-কানুন অমান্য করেছে বলতে হবে।
11. যিনি বলেছেন, “ব্যভিচার কোরো না,” তিনিই আবার বলেছেন, “খুন কোরো না।” তাহলে যদি তোমরা ব্যভিচার না করে খুন কর তবে কি তোমরা আইন-অমান্যকারী হলে না?
12. যে আইন মানুষকে স্বাধীনতা দান করে সেই আইন দ্বারা যাদের বিচার করা হবে, তাদের মতই কথা বল ও চলাফেরা কর;
13. কারণ যে দয়া করে নি, বিচারের সময়ে সেও দয়া পাবে না। বিচারের উপর দয়া জয়লাভ করে।
14. আমার ভাইয়েরা, যদি কেউ বলে তার বিশ্বাস আছে কিন্তু কাজে তা না দেখায় তবে তাতে কি লাভ? সেই বিশ্বাস কি তাকে পাপ থেকে উদ্ধার করতে পারে?
15. ধরে নাও, তোমাদের কোন ভাই কিম্বা বোনের ঘরে খাবারও নেই, পরবার কাপড়ও নেই।
16. এই অবস্থায় যদি তোমাদের কেউ তাকে বলে, “তোমার মংগল হোক, খেয়ে-পরে ভাল থাক,” অথচ তার অভাব মিটাবার কোন ব্যবস্থাই না করে তবে তাতে তার কি উপকার হবে?
17. ঠিক সেইভাবে, যে বিশ্বাসের সংগে কাজ যুক্ত নেই সেই বিশ্বাস মৃত।
18. কেউ হয়তো বলতে পারে, “তোমার বিশ্বাস আছে আর আমার আছে সৎ কাজ।” বেশ, ভাল কথা। কাজ ছাড়া তোমার বিশ্বাস আমাকে দেখাও আর আমি কাজের মধ্য দিয়ে আমার বিশ্বাস তোমাকে দেখাব।