7. তোমাদের পূর্বপুরুষদের সময় থেকেই তোমরা আমার সব নিয়ম-কানুন থেকে সরে গেছ এবং তা পালন কর নি। আমার কাছে ফিরে এস, আর আমিও তোমাদের কাছে ফিরে আসব। কিন্তু তোমরা বলছ, ‘আমরা কেমন করে ফিরে আসব?’
8. মানুষ কি ঈশ্বরকে ঠকাবে? কিন্তু তোমরা তো আমাকে ঠকাচ্ছ। তবুও তোমরা বলছ, ‘আমরা তোমাকে কি করে ঠকাচ্ছি?’ দশমাংশ ও দানের ব্যাপারে তোমরা আমাকে ঠকাচ্ছ।
9. তোমরা অভিশাপের তলায় রয়েছ, তবুও তোমাদের গোটা জাতি আমাকে ঠকাচ্ছে।
10. তোমরা তোমাদের সমস্ত দশমাংশ ভাণ্ডার-ঘরে আনবে যাতে আমার ঘরে খাবার থাকে। এই বিষয়ে তোমরা আমাকে পরীক্ষা করে দেখ, আমি সর্বক্ষমতার অধিকারী সদাপ্রভু আকাশের সব দরজা খুলে তোমাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত আশীর্বাদ ঢেলে দিই কি না।
11. আমি গ্রাসকারী পোকাকে বাধা দেব যাতে তারা তোমাদের ফসল খেয়ে না ফেলে; এছাড়া তোমাদের ক্ষেতে আংগুর লতার ফল ঝরে পড়বে না।
12. তখন সমস্ত জাতি তোমাদের ধন্য বলবে, কারণ তোমাদের দেশটা হবে আনন্দদায়ক। আমি সর্বক্ষমতার অধিকারী সদাপ্রভু এই কথা বলছি।”
13. সদাপ্রভু আবার বলছেন, “তোমরা আমার বিরুদ্ধে শক্ত শক্ত কথা বলেছ, কিন্তু তোমরা বলছ, ‘তোমার বিরুদ্ধে আমরা কি বলেছি?’
14. তোমরা বলেছ, ‘ঈশ্বরের সেবা করা অনর্থক। তাঁর আইন-কানুন অনুসারে কাজ করাতে এবং শোক প্রকাশ করে সর্বক্ষমতার অধিকারী সদাপ্রভুর সামনে চলাফেরা করাতে আমাদের কি লাভ হল?
15. এখন আমরা গর্বিত লোকদের ধন্য বলছি; হ্যাঁ, অন্যায়কারীরা উন্নতি করছে; তারা ঈশ্বরকে পরীক্ষা করেও রেহাই পাচ্ছে।’ ”
16. তখন যারা সদাপ্রভুকে ভক্তিপূর্ণ ভয় করত তারা একে অন্যের সংগে কথাবার্তা বলল এবং সদাপ্রভু তা মনোযোগ দিয়ে শুনলেন। যারা সদাপ্রভুকে ভক্তিপূর্ণ ভয় করত ও তাঁর বিষয় গভীরভাবে চিন্তা করত তাদের স্মরণ করবার জন্য তাঁর সামনে একটা বই লেখা হল।
17. তাদের বিষয়ে সর্বক্ষমতার অধিকারী সদাপ্রভু বলছেন, “আমার নির্দিষ্ট করা দিনে তারা আমার নিজের বিশেষ সম্পত্তি হবে; তারা আমারই হবে। একজন লোক যেমন তার সেবাকারী ছেলেকে মমতা করে শাস্তি থেকে রেহাই দেয় তেমনি করে আমি তাদের রেহাই দেব।
18. তখন তোমরা সৎ ও দুষ্টের মধ্যে, অর্থাৎ যে আমার সেবা করে আর যে করে না তাদের মধ্যে আমি কিভাবে পার্থক্য করি তা দেখতে পাবে।”