38. যোহন যীশুকে বললেন, “গুরু, আমরা একজন লোককে আপনার নামে মন্দ আত্মা ছাড়াতে দেখে তাকে বারণ করলাম, কারণ সে আমাদের দলের লোক নয়।”
39. যীশু বললেন, “তাকে বারণ কোরো না। আমার নামে আশ্চর্য কাজ করবার পরে কেউ ফিরে আমার নিন্দা করতে পারে না,
40. কারণ যে আমাদের বিপক্ষে থাকে না সে তো আমাদের পক্ষেই আছে।
41. আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, তোমরা মশীহের লোক বলে যে কেউ তোমাদের এক বাটি জল খেতে দেয় সে কোনমতে তার পুরস্কার হারাবে না।
42. “আমার উপর বিশ্বাসী এই ছোটদের মধ্যে কাউকে যদি কেউ পাপের পথে নিয়ে যায় তবে তার গলায় একটা বড় পাথর বেঁধে তাকে সাগরে ফেলে দেওয়া বরং তার পক্ষে ভাল।
43-44. তোমার হাত যদি তোমাকে পাপের পথে টানে তবে তা কেটে ফেলে দাও। দুই হাত নিয়ে নরকে যাবার চেয়ে বরং নুলা হয়ে জীবনে ঢোকা তোমার পক্ষে ভাল।
45-46. সেই নরকের আগুন কখনও নেভে না। যদি তোমার পা তোমাকে পাপের পথে টানে তবে তা কেটে ফেলে দাও। দুই পা নিয়ে নরকে পড়বার চেয়ে বরং খোঁড়া হয়ে জীবনে ঢোকা তোমার পক্ষে ভাল।
47. তোমার চোখ যদি তোমাকে পাপের পথে টানে তবে তা তুলে ফেল। দুই চোখ নিয়ে নরকে পড়বার চেয়ে বরং কানা হয়ে ঈশ্বরের রাজ্যে ঢোকা তোমার পক্ষে ভাল।
48. সেই নরকে মরা মানুষের মাংস খাওয়া পোকারা কখনও মরে না, আর সেখানকার আগুন কখনও নেভে না।
49. “লবণ দেওয়ার মত প্রত্যেকের উপর আগুন দেওয়া হবে।
50. “লবণ ভাল জিনিস, কিন্তু যদি লবণের স্বাদ নষ্ট হয়ে যায় তবে তা কেমন করে আবার নোন্তা করা যাবে? তোমাদের অন্তরের মধ্যে লবণ রাখ এবং তোমরা একে অন্যের সংগে শান্তিতে থাক।”