30. পরে তাঁরা সেই জায়গা ছেড়ে গালীল প্রদেশের মধ্য দিয়ে চলে গেলেন। তিনি চেয়েছিলেন যেন কেউ জানতে না পারে যে, তিনি কোথায় যাচ্ছেন,
31. কারণ তখন তিনি তাঁর শিষ্যদের শিক্ষা দিচ্ছিলেন। তিনি তাঁদের বলছিলেন, “মনুষ্যপুত্রকে লোকদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হবে। তারা তাঁকে মেরে ফেলবে এবং তিন দিনের দিন আবার তিনি জীবিত হয়ে উঠবেন।”
32. শিষ্যেরা কিন্তু যীশুর কথার মানে বুঝতে পারলেন না এবং তাঁকে জিজ্ঞাসা করতেও তাঁদের ভয় হল।
33. তারপর যীশু ও তাঁর শিষ্যেরা কফরনাহূমে গেলেন। যীশু ঘরের মধ্যে গিয়ে শিষ্যদের জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরা পথে কি নিয়ে তর্ক করছিলে?”
34. শিষ্যেরা চুপ করে রইলেন, কারণ কে সবচেয়ে বড় তা নিয়ে পথে তাঁরা তর্কাতর্কি করছিলেন।
35. যীশু বসলেন এবং সেই বারোজন শিষ্যকে নিজের কাছে ডেকে বললেন, “কেউ যদি প্রধান হতে চায় তবে তাকে সবার শেষে থাকতে হবে এবং সকলের সেবাকারী হতে হবে।”
36. পরে তিনি একটা শিশুকে নিয়ে শিষ্যদের সামনে দাঁড় করালেন। তাকে কোলে নিয়ে তিনি বললেন,
37. “যে কেউ আমার নামে এর মত কোন শিশুকে গ্রহণ করে সে আমাকেই গ্রহণ করে, আর যে আমাকে গ্রহণ করে সে কেবল আমাকে গ্রহণ করে না, কিন্তু যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তাঁকেই গ্রহণ করে।”
38. যোহন যীশুকে বললেন, “গুরু, আমরা একজন লোককে আপনার নামে মন্দ আত্মা ছাড়াতে দেখে তাকে বারণ করলাম, কারণ সে আমাদের দলের লোক নয়।”
39. যীশু বললেন, “তাকে বারণ কোরো না। আমার নামে আশ্চর্য কাজ করবার পরে কেউ ফিরে আমার নিন্দা করতে পারে না,
40. কারণ যে আমাদের বিপক্ষে থাকে না সে তো আমাদের পক্ষেই আছে।
41. আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, তোমরা মশীহের লোক বলে যে কেউ তোমাদের এক বাটি জল খেতে দেয় সে কোনমতে তার পুরস্কার হারাবে না।
42. “আমার উপর বিশ্বাসী এই ছোটদের মধ্যে কাউকে যদি কেউ পাপের পথে নিয়ে যায় তবে তার গলায় একটা বড় পাথর বেঁধে তাকে সাগরে ফেলে দেওয়া বরং তার পক্ষে ভাল।
43-44. তোমার হাত যদি তোমাকে পাপের পথে টানে তবে তা কেটে ফেলে দাও। দুই হাত নিয়ে নরকে যাবার চেয়ে বরং নুলা হয়ে জীবনে ঢোকা তোমার পক্ষে ভাল।
45-46. সেই নরকের আগুন কখনও নেভে না। যদি তোমার পা তোমাকে পাপের পথে টানে তবে তা কেটে ফেলে দাও। দুই পা নিয়ে নরকে পড়বার চেয়ে বরং খোঁড়া হয়ে জীবনে ঢোকা তোমার পক্ষে ভাল।
47. তোমার চোখ যদি তোমাকে পাপের পথে টানে তবে তা তুলে ফেল। দুই চোখ নিয়ে নরকে পড়বার চেয়ে বরং কানা হয়ে ঈশ্বরের রাজ্যে ঢোকা তোমার পক্ষে ভাল।