3. তাঁর কাপড়-চোপড় এমন চোখ ঝলসানো সাদা হল যে, পৃথিবীর কোন ধোপার পক্ষে তেমন করে কাপড় কাচা সম্ভব নয়।
4. শিষ্যেরা সেখানে এলিয় ও মোশিকে দেখতে পেলেন। তাঁরা যীশুর সংগে কথা বলছিলেন।
5. তখন পিতর যীশুকে বললেন, “গুরু, ভালই হয়েছে যে, আমরা এখানে আছি। আমরা এখানে তিনটা কুঁড়ে-ঘর তৈরী করি-একটা আপনার, একটা মোশির ও একটা এলিয়ের জন্য।”
6. কি যে বলা উচিত তা পিতর বুঝলেন না, কারণ তাঁরা খুব ভয় পেয়েছিলেন।
7. এই সময় একটা মেঘ এসে তাঁদের ঢেকে ফেলল, আর সেই মেঘ থেকে এই কথা শোনা গেল, “ইনিই আমার প্রিয় পুত্র, তোমরা এঁর কথা শোন।”
8. শিষ্যেরা তখনই চারদিকে তাকালেন কিন্তু যীশু ছাড়া আর কাউকে দেখতে পেলেন না।
9. পরে পাহাড় থেকে নেমে আসবার সময় যীশু তাঁদের আদেশ দিলেন, “তোমরা যা দেখলে তা মনুষ্যপুত্র মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে না ওঠা পর্যন্ত কাউকে বোলো না।”
10. শিষ্যেরা যীশুর আদেশ পালন করলেন, কিন্তু মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে ওঠার অর্থ কি তা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে লাগলেন।
11. তাঁরা যীশুকে জিজ্ঞাসা করলেন, “ধর্ম-শিক্ষকেরা কেন বলেন প্রথমে এলিয়ের আসা দরকার?”
12. উত্তরে যীশু তাঁদের বললেন, “এই কথা সত্যি যে, প্রথমে এলিয় এসে সব কিছু আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন। তবে মনুষ্যপুত্রের বিষয়ে কেমন করেই বা পবিত্র শাস্ত্রে লেখা আছে যে, তাঁকে খুব কষ্টভোগ করতে হবে এবং লোকে তাঁকে অগ্রাহ্য করবে?