15. লোকেরা যীশুকে দেখেই খুব আশ্চর্য হয়ে গেল এবং দৌড়ে গিয়ে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাল।
16. যীশু ধর্ম-শিক্ষকদের জিজ্ঞাসা করলেন, “আপনারা ওদের সংগে কি বিষয়ে তর্ক করছেন?”
17. ভিড়ের মধ্য থেকে একজন লোক উত্তর দিল, “গুরু, আমার ছেলেকে আপনার কাছে এনেছিলাম। তাকে বোবা আত্মায় পেয়েছে।
18. সেই আত্মা যখনই তাকে ধরে তখনই আছাড় দিয়ে মাটিতে ফেলে। তার মুখ থেকে ফেনা বের হয় আর সে দাঁতে দাঁত ঘষে এবং শক্ত হয়ে যায়। আমি আপনার শিষ্যদের সেই আত্মাকে ছাড়িয়ে দিতে বললাম, কিন্তু তাঁরা পারলেন না।”
19. তখন যীশু বললেন, “অবিশ্বাসী লোকেরা! আর কতদিন আমি তোমাদের সংগে থাকব? কতদিন তোমাদের সহ্য করব? ছেলেটিকে আমার কাছে আন।”
20. লোকেরা তখন ছেলেটিকে যীশুর কাছে আনল। যীশুকে দেখেই সেই মন্দ আত্মা ছেলেটিকে খুব জোরে মুচড়ে ধরল। ছেলেটি মুখ থেকে ফেনা বের করতে করতে মাটিতে গড়াগড়ি দিতে লাগল।
21. যীশু তার বাবাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “কতদিন হল তার এই রকম হয়েছে?”লোকটি বলল, “ছেলেবেলা থেকে।
22. এই আত্মা তাকে মেরে ফেলবার জন্য প্রায়ই আগুনে আর জলে ফেলে দিয়েছে। তবে আপনি যদি আমাদের কোন উপকার করতে পারেন তবে দয়া করে তা করুন।”
23. যীশু তাকে বললেন, “‘যদি করতে পারেন,’ এই কথার মানে কি? যে বিশ্বাস করে তার জন্য সব কিছুই সম্ভব।”
24. তখনই ছেলেটির বাবা চিৎকার করে বলল, “আমি বিশ্বাস করছি; আমার মধ্যে এখনও যে অবিশ্বাস আছে তা দূর করে দিন।”
25. অনেক লোক দৌড়ে আসছে দেখে যীশু সেই মন্দ আত্মাকে ধমক দিয়ে বললেন, “ওহে বয়রা ও বোবা আত্মা, আমি তোমাকে আদেশ দিচ্ছি, এর মধ্য থেকে বের হও; আর কখনও এর মধ্যে ঢুকো না।”
26. তখন সেই মন্দ আত্মা চিৎকার করে ছেলেটাকে জোরে মুচড়ে ধরল এবং তার মধ্য থেকে বের হয়ে গেল। তাতে ছেলেটি মরার মত পড়ে রইল দেখে অনেকে বলল, “ও মারা গেছে।”
27. যীশু কিন্তু তার হাত ধরে তুললে পর সে উঠে দাঁড়াল।
28. এর পরে যীশু ঘরের ভিতরে গেলেন। তখন শিষ্যেরা গোপনে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আমরা তাকে ছাড়াতে পারলাম না কেন?”
29. যীশু বললেন, “প্রার্থনা ছাড়া আর কোন মতেই এই রকম মন্দ আত্মা ছাড়ানো যায় না।”
30. পরে তাঁরা সেই জায়গা ছেড়ে গালীল প্রদেশের মধ্য দিয়ে চলে গেলেন। তিনি চেয়েছিলেন যেন কেউ জানতে না পারে যে, তিনি কোথায় যাচ্ছেন,
31. কারণ তখন তিনি তাঁর শিষ্যদের শিক্ষা দিচ্ছিলেন। তিনি তাঁদের বলছিলেন, “মনুষ্যপুত্রকে লোকদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হবে। তারা তাঁকে মেরে ফেলবে এবং তিন দিনের দিন আবার তিনি জীবিত হয়ে উঠবেন।”