18. যীশু তাঁদের বললেন, “তোমরা কি এতই অবুঝ? তোমরা কি বোঝ না যে, বাইরে থেকে যা মানুষের ভিতরে ঢোকে তা তাকে অশুচি করতে পারে না?
19. এর কারণ হল, তা তো তার অন্তরে ঢোকে না কিন্তু পেটে ঢোকে এবং পরে দেহ থেকে বের হয়ে যায়।” এই কথাতেই যীশু বুঝিয়ে দিলেন যে, সব খাবারই শুচি।
20. যীশু আরও বললেন, “মানুষের ভিতর থেকে যা বের হয়ে আসে তা- ই মানুষকে অশুচি করে,
21. কারণ মানুষের ভিতর, অর্থাৎ অন্তর থেকেই মন্দ চিন্তা, সমস্ত রকম ব্যভিচার, চুরি, খুন,
22. লোভ, অন্যের ক্ষতি করবার ইচ্ছা, ছলনা, লমপটতা, হিংসা, নিন্দা, অহংকার এবং মূর্খতা বের হয়ে আসে।
23. এই সব মন্দতা মানুষের ভিতর থেকেই বের হয়ে আসে এবং মানুষকে অশুচি করে।”
24. এর পরে যীশু সেই জায়গা ছেড়ে সোর এলাকায় গেলেন। তিনি একটা ঘরে ঢুকলেন এবং চাইলেন যেন কেউ তা জানতে না পারে, কিন্তু তিনি লুকিয়ে থাকতে পারলেন না।
25. সেখানে এমন একজন স্ত্রীলোক ছিল যার মেয়েকে মন্দ আত্মায় পেয়েছিল। সেই স্ত্রীলোকটি যীশুর বিষয় শুনতে পেয়ে তখনই এসে যীশুর পায়ে পড়ল।
26. স্ত্রীলোকটি ছিল অযিহূদী এবং সুর-ফৈনীকীতে জন্মগ্রহণ করেছিল। সে যীশুর কাছে কাকুতি-মিনতি করতে লাগল যেন তিনি তার মেয়েটির মধ্য থেকে মন্দ আত্মা দূর করে দেন।
27. যীশু তাকে বললেন, “আগে ছেলেমেয়েরা পেট ভরে খাক, কারণ ছেলেমেয়েদের খাবার নিয়ে কুকুরের সামনে ফেলা ভাল নয়।”
28. তাতে সেই স্ত্রীলোকটি বলল, “প্রভু, আপনি ঠিকই বলেছেন, কিন্তু ছেলেমেয়েদের খাবারের যে সব টুকরা টেবিলের নীচে পড়ে তা তো কুকুরেই খায়।”
29. যীশু তাকে বললেন, “কথাটা তুমি বেশ ভাল বলেছ। এখন যাও; গিয়ে দেখ, মন্দ আত্মা তোমার মেয়েটির মধ্য থেকে বের হয়ে গেছে।”