48. যীশু দেখলেন শিষ্যেরা খুব কষ্ট করে দাঁড় বাইছেন, কারণ বাতাস তাঁদের উল্টাদিকে ছিল। প্রায় শেষ রাতের দিকে যীশু সাগরের উপর দিয়ে হেঁটে শিষ্যদের কাছে আসলেন এবং তাঁদের ফেলে এগিয়ে যাচ্ছিলেন।
49. শিষ্যেরা কিন্তু তাঁকে সাগরের উপর দিয়ে হাঁটতে দেখে ভূত মনে করে চিৎকার করে উঠলেন,
50. কারণ তাঁকে দেখে সবাই ভয় পেয়েছিলেন।যীশু তখনই শিষ্যদের সংগে কথা বললেন। তিনি তাঁদের বললেন, “এ তো আমি; ভয় কোরো না, সাহস কর।”
51. যীশু শিষ্যদের নৌকায় উঠলে পর বাতাস থেমে গেল। এতে শিষ্যেরা খুব অবাক হয়ে গেলেন,
52. কারণ এর আগে রুটি খাওয়াবার ব্যাপারটা তাঁরা বুঝতে পারেন নি; তাঁদের মন কঠিন হয়েই রইল।
53. যীশু ও তাঁর শিষ্যেরা সাগর পার হয়ে গিনেষরৎ এলাকায় এসে নৌকা বাঁধলেন।
54-55. তাঁরা নৌকা থেকে নামতেই লোকেরা যীশুকে চিনতে পেরে ঐ এলাকার সব জায়গায় দৌড়াদৌড়ি করতে লাগল। তারপর তিনি কোথায় আছেন তা জেনে নিয়ে তারা মাদুরের উপরে করে রোগীদের তাঁর কাছে বয়ে নিয়ে গেল।
56. শহরে, গ্রামে বা পাড়ায়, যেখানেই তিনি যেতেন সেখানকার লোকেরা রোগীদের এনে বাজারের মধ্যে জড়ো করত। তারা যীশুকে মিনতি করত যেন রোগীরা তাঁর চাদরের কিনারাটা কেবল ছুঁতে পারে, আর যারা তাঁকে ছুঁতো তারা সুস্থ হত।