27. যীশুর বিষয় শুনে সে ভিড়ের মধ্যেই যীশুর ঠিক পিছনে এসে তাঁর চাদরটা ছুঁলো,
28. কারণ সে ভেবেছিল যদি কেবল তাঁর কাপড় সে ছুঁতে পারে তাহলেই সে ভাল হয়ে যাবে।
29. যীশুর চাদরটা ছোঁয়ার সংগে সংগেই তার রক্তস্রাব বন্ধ হল এবং সে তার নিজের দেহের মধ্যেই বুঝল তার অসুখ ভাল হয়ে গেছে।
30. যীশু তখনই বুঝলেন তাঁর মধ্য থেকে শক্তি বের হয়েছে। সেইজন্য তিনি ভিড়ের চারদিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, “কে আমার কাপড় ছুঁলো?”
31. তাঁর শিষ্যেরা বললেন, “আপনি তো দেখছেন লোকে আপনার চারপাশে ঠেলাঠেলি করছে, আর তবুও আপনি বলছেন, কে আপনাকে ছুঁলো?”
32. এই কাজ কে করেছে তা দেখবার জন্য তবুও যীশু চারদিকে তাকাতে লাগলেন।
33. সেই স্ত্রীলোকটির যা হয়েছে তা বুঝে সে কাঁপতে কাঁপতে এসে যীশুর পায়ে পড়ল এবং সব বিষয় জানাল।
34. যীশু তাঁকে বললেন, “মা, তুমি বিশ্বাস করেছ বলে সুস্থ হয়েছ। শান্তিতে চলে যাও, তোমার আর এই কষ্ট না হোক।”
35. যীশু তখনও কথা বলছিলেন, এমন সময় সেই সমাজ-ঘরের নেতা যায়ীরের ঘর থেকে কয়েকজন লোক এসে যায়ীরকে বলল, “আপনার মেয়েটা মারা গেছে; গুরুকে আর কষ্ট দেবেন না।”
36. সেই লোকগুলোর কথা শুনে যীশু যায়ীরকে বললেন, “ভয় করবেন না, কেবল বিশ্বাস করুন।”
37. যীশু কেবল পিতর, যাকোব ও যাকোবের ভাই যোহনকে তাঁর সংগে নিলেন।
38. পরে যায়ীরের বাড়ীতে এসে তিনি দেখলেন খুব গোলমাল হচ্ছে। লোকেরা জোরে জোরে কান্নাকাটি করছে।
39. যীশু ভিতরে গিয়ে লোকদের বললেন, “আপনারা কেন গোলমাল ও কান্নাকাটি করছেন? মেয়েটি মারা যায় নি, ঘুমাচ্ছে।”
40. এই কথা শুনে লোকেরা হাসাহাসি করতে লাগল। তখন যীশু তাদের সবাইকে ঘর থেকে বাইরে যেতে বললেন। তারপর তিনি মেয়েটির মা-বাবা এবং তাঁর সংগের শিষ্যদের নিয়ে মেয়েটি যে ঘরে ছিল সেই ঘরে ঢুকলেন।
41-42. মেয়েটির বয়স ছিল বারো বছর। যীশু মেয়েটির হাত ধরে বললেন, “টালিথা কুম্,” অর্থাৎ “খুকী, তোমাকে বলছি, ওঠো।” আর তখনই মেয়েটি উঠে হেঁটে বেড়াতে লাগল। এতে তাঁরা খুব আশ্চর্য হয়ে গেলেন।
43. এই ঘটনার কথা কাউকে না জানাবার জন্য যীশু কড়া আদেশ দিলেন এবং মেয়েটিকে কিছু খেতে দিতে বললেন।