21. যীশু আরও বললেন, “কেউ কি বাতি নিয়ে ঝুড়ি বা খাটের নীচে রাখে? সে কি তা বাতিদানের উপর রাখে না?
22. কোন জিনিস যদি লুকানো থাকে তবে তা প্রকাশিত হবার জন্যই লুকানো থাকে; আবার কোন জিনিস যদি ঢাকা থাকে তবে তা খুলবার জন্যই ঢাকা থাকে।
23. যদি কারও শুনবার কান থাকে সে শুনুক।”
24. এর পরে যীশু বললেন, “তোমরা যা শুনছ সেই বিষয়ে মনোযোগ দাও। তোমরা যেভাবে মেপে দাও তোমাদের জন্য সেইভাবে মাপা হবে; এমন কি, বেশী করেই মাপা হবে।
25. যার আছে তাকে আরও দেওয়া হবে, কিন্তু যার নেই তার যা আছে তা-ও তার কাছ থেকে নিয়ে নেওয়া হবে।”
26. যীশু আরও বললেন, “ঈশ্বরের রাজ্য এই রকম: একজন লোক জমিতে বীজ ছড়াল।
27. পরে সে রাতে ঘুমিয়ে ও দিনে জেগে থেকে সময় কাটাল। এর মধ্যে সেই বীজ থেকে চারা গজিয়ে বড় হল, কিন্তু কিভাবে হল তা সে জানল না।
28. জমি নিজে নিজেই ফল জন্মাল-প্রথমে চারা, পরে শীষ এবং শীষের মাথায় পরিপূর্ণ শস্যের দানা।
29. দানা পাকলে পর সে কাস্তে লাগাল, কারণ ফসল কাটবার সময় হয়েছে।”
30. তারপর যীশু বললেন, “কিসের সংগে আমরা ঈশ্বরের রাজ্যের তুলনা করব? কোন্ দৃষ্টান্তের মধ্য দিয়ে তা বুঝাব?
31. সেই রাজ্য একটা সর্ষে- দানার মত। জমিতে বুনবার সময় দেখা যায় যে, ওটা সব বীজের মধ্যে সবচেয়ে ছোট।
32. কিন্তু লাগাবার পর যখন গাছ বেড়ে ওঠে তখন সমস্ত শাক-সব্জির মধ্যে ওটা সবচেয়ে বড় হয়, আর এমন বড় বড় ডাল বের হয় যে, পাখীরাও তার আড়ালে বাসা বাঁধে।”
33. এই রকম আরও অনেক গল্পের মধ্য দিয়ে যীশু ঈশ্বরের বাক্য লোকদের কাছে বলতেন। তারা যতটুকু বুঝতে পারত ততটুকুই তিনি তাদের কাছে বলতেন।
34. গল্প ছাড়া তিনি তাদের শিক্ষা দিতেন না, কিন্তু শিষ্যেরা যখন তাঁর সংগে একা থাকতেন তখন তিনি সব কিছু তাঁদের বুঝিয়ে দিতেন।
35. সেই দিন সন্ধ্যাবেলা যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন, “চল, আমরা সাগরের ওপারে যাই।”
36. তখন শিষ্যেরা লোকদের ছেড়ে যীশু যে নৌকায় ছিলেন সেই নৌকাতে করে তাঁকে নিয়ে চললেন। অবশ্য সেখানে আরও অন্য নৌকাও ছিল।