18. একবার বাপ্তিস্মদাতা যোহনের শিষ্যেরা ও ফরীশীরা উপবাস করছিলেন। তা দেখে কয়েকজন লোক যীশুর কাছে এসে বলল, “যোহনের শিষ্যেরা ও ফরীশীদের শিষ্যেরা উপবাস করেন, কিন্তু আপনার শিষ্যেরা করেন না কেন?”
19. যীশু তাদের বললেন, “বর সংগে থাকতে কি বরের সংগের লোকেরা উপবাস করতে পারে? যতদিন বর সংগে থাকে ততদিন তারা উপবাস করতে পারে না।
20. কিন্তু সময় আসছে যখন তাদের কাছ থেকে বরকে নিয়ে যাওয়া হবে, আর সেই সময় তারা উপবাস করবে।
21. “কেউ পুরানো জামায় নতুন কাপড়ের তালি দেয় না। যদি দেয় তবে সেই পুরানো কাপড় থেকে নতুন তালিটা ছিঁড়ে আসে। তাতে সেই ছেঁড়া আরও বড় হয়।
22. পুরানো চামড়ার থলিতে কেউ টাটকা আংগুর-রস রাখে না। যদি রাখে তবে টাটকা রসের দরুন থলি ফেটে গিয়ে রস ও থলি দু’টাই নষ্ট হয়। টাটকা রস নতুন থলিতেই রাখা হয়।”
23. এক বিশ্রামবারে যীশু শস্যক্ষেতের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁর শিষ্যেরা যেতে যেতে শীষ ছিঁড়তে লাগলেন।
24. তাতে ফরীশীরা যীশুকে বললেন, “ধর্মের নিয়ম মতে বিশ্রামবারে যা করা উচিত নয় তা ওরা করছে কেন?”
25-26. যীশু তাঁদের বললেন, “অবিয়াথর যখন মহাপুরোহিত ছিলেন সেই সময় দায়ূদ ও তাঁর সংগীদের একবার খিদে পেয়েছিল, কিন্তু তাঁদের সংগে কোন খাবার ছিল না। তখন দায়ূদ যা করেছিলেন তা কি আপনারা কখনও পড়েন নি? তিনি তো ঈশ্বরের ঘরে ঢুকে সম্মুখ-রুটি খেয়েছিলেন এবং সংগীদেরও তা দিয়েছিলেন। কিন্তু এই রুটি পুরোহিতেরা ছাড়া আর কারও খাবার নিয়ম ছিল না।”
27. যীশু তাঁদের আরও বললেন, “মানুষের জন্যই বিশ্রামবারের সৃষ্টি হয়েছে, কিন্তু বিশ্রামবারের জন্য মানুষের সৃষ্টি হয় নি।