1. বিশ্রামবার পার হয়ে গেলে পর মগ্দলীনী মরিয়ম, যাকোবের মা মরিয়ম এবং শালোমী যীশুর দেহে মাখাবার জন্য সুগন্ধি মলম কিনে আনলেন।
2. সপ্তার প্রথম দিনের খুব সকালে, সূর্য উঠবার সংগে সংগেই তাঁরা কবরের কাছে গেলেন।
3. সেই সময় তাঁরা একে অন্যকে জিজ্ঞাসা করছিলেন, “কবরের মুখ থেকে কে ঐ পাথরটা সরিয়ে দেবে?”
4. কিন্তু তাঁরা চেয়ে দেখলেন যে, পাথরখানা সরানো হয়েছে। সেই পাথরটা খুব বড় ছিল।
5. কবরের গুহায় ঢুকে তাঁরা দেখলেন, সাদা কাপড়-পরা একজন যুবক ডান দিকে বসে আছেন। এতে তাঁরা খুব অবাক হলেন।
6. সেই যুবকটি বললেন, “অবাক হয়ো না। নাসরত গ্রামের যীশু, যাঁকে ক্রুশে দেওয়া হয়েছিল, তাঁকেই তোমরা খুঁজছো তো? তিনি এখানে নেই, তিনি জীবিত হয়ে উঠেছেন। যেখানে তারা তাঁকে রেখেছিল সেই জায়গা দেখ।
7. তারপর তোমরা গিয়ে তাঁর শিষ্যদের ও পিতরকে এই কথা বল যে, তিনি তাদের আগে গালীলে যাচ্ছেন। তিনি যেমন বলেছিলেন তেমনই তারা তাঁকে সেখানে দেখতে পাবে।”
8. সেই স্ত্রীলোকেরা কিছু বুঝতে না পেরে কাঁপতে কাঁপতে কবরের গুহা থেকে বের হয়ে আসলেন এবং সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে গেলেন। তাঁরা এত ভয় পেয়েছিলেন যে, কাউকে কিছু বললেন না।
9. সপ্তার প্রথম দিনের ভোর বেলায় যীশু মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠলেন। পরে তিনি মগ্দলীনী মরিয়মকে প্রথমে দেখা দিলেন। এই মরিয়মের ভিতর থেকে তিনি সাতটা মন্দ আত্মা ছাড়িয়েছিলেন।
10. যীশুকে দেখবার পর মরিয়ম গিয়ে যাঁরা যীশুর সংগে থাকতেন তাঁদের কাছে খবর দিলেন। সেই সময় তাঁরা মনের দুঃখে কাঁদছিলেন।
11. যীশু জীবিত হয়েছেন ও মরিয়ম তাঁকে দেখেছেন, এই কথা শুনে তাঁরা বিশ্বাস করলেন না।
12. এর পরে তাঁর দু’জন শিষ্য যখন হেঁটে গ্রামের দিক যাচ্ছিলেন তখন যীশু অন্য রকম চেহারায় তাঁদের দেখা দিলেন।
13. তাঁরা ফিরে গিয়ে বাকী সবাইকে সেই খবর দিলেন, কিন্তু তাঁদের কথাও অন্য শিষ্যেরা বিশ্বাস করলেন না।
14. এর পরে যীশু তাঁর এগারোজন শিষ্যকে দেখা দিলেন। তখন তাঁরা খাচ্ছিলেন। বিশ্বাসের অভাব ও অন্তরের কঠিনতার জন্য তিনি তাঁদের বকলেন, কারণ তিনি মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠবার পরে যাঁরা তাঁকে দেখেছিলেন তাঁদের কথা তাঁরা বিশ্বাস করেন নি।
15. যীশু সেই শিষ্যদের বললেন, “তোমরা পৃথিবীর সব জায়গায় যাও এবং সব লোকদের কাছে ঈশ্বরের দেওয়া সুখবর প্রচার কর।