23. পরে তারা যীশুকে গন্ধরস মিশানো সির্কা খেতে দিল, কিন্তু তিনি তা খেলেন না।
24. এর পরে তারা যীশুকে ক্রুশে দিল। সৈন্যেরা যীশুর কাপড়-চোপড় ভাগ করবার জন্য গুলিবাঁট করে দেখতে চাইল কার ভাগ্যে কি পড়ে।
25. সকাল ন’টার সময় তারা যীশুকে ক্রুশে দিয়েছিল।
26. যীশুর বিরুদ্ধে দোষ-নামাতে লেখা ছিল, “যিহূদীদের রাজা।”
27. তারা দু’জন ডাকাতকেও যীশুর সংগে ক্রুশে দিল, একজনকে ডান দিকে ও অন্যজনকে বাঁ দিকে।
28. তাতে পবিত্র শাস্ত্রের এই কথা পূর্ণ হল: “তাঁকে অন্যায়কারীদের সংগে গোণা হল।”
29. যারা সেই পথ দিয়ে যাচ্ছিল তারা মাথা নেড়ে যীশুকে ঠাট্টা করে বলল, “ওহে, তুমি না উপাসনা-ঘর ভেংগে আবার তিন দিনের মধ্যে তা তৈরী করতে পার!
30. এখন ক্রুশ থেকে নেমে এসে নিজেকে রক্ষা কর!”
31. প্রধান পুরোহিতেরা ও ধর্ম-শিক্ষকেরাও যীশুকে ঠাট্টা করবার উদ্দেশ্যে নিজেদের মধ্যে বলাবলি করতে লাগলেন, “ও অন্যদের রক্ষা করত, নিজেকে রক্ষা করতে পারে না।
32. ঐ যে মশীহ, ইস্রায়েলীয়দের রাজা! ক্রুশ থেকে ও নেমে আসুক যেন আমরা দেখে বিশ্বাস করতে পারি।”যীশুর সংগে যাদের ক্রুশে দেওয়া হয়েছিল তারাও তাঁকে টিট্কারি দিল।
33. পরে দুপুর বারোটা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত সারা দেশ অন্ধকার হয়ে রইল।
34. বেলা তিনটার সময় যীশু জোরে চিৎকার করে বললেন, “এলোই, এলোই, লামা শবক্তানী,” অর্থাৎ “ঈশ্বর আমার, ঈশ্বর আমার, কেন তুমি আমাকে ত্যাগ করেছ?”