48. যীশু সেই লোকদের বললেন, “আমি কি ডাকাত যে, আপনারা ছোরা ও লাঠি নিয়ে আমাকে ধরতে এসেছেন?
49. আমি তো প্রত্যেক দিনই আপনাদের মধ্যে থেকে উপাসনা-ঘরে শিক্ষা দিতাম, কিন্তু তখন তো আপনারা আমাকে ধরেন নি। অবশ্য শাস্ত্রের কথা পূর্ণ হতে হবে।”
50. সেই সময় শিষ্যেরা সবাই তাঁকে ছেড়ে পালিয়ে গেলেন।
51. একজন যুবক কেবল একটা চাদর পরে যীশুর পিছনে পিছনে যাচ্ছিল।
52. লোকেরা যখন তাকে ধরল তখন সে চাদরখানা ছেড়ে দিয়ে উলংগ অবস্থায় পালিয়ে গেল।
53. সেই লোকেরা যীশুকে নিয়ে মহাপুরোহিতের কাছে গেল। সেখানে প্রধান পুরোহিতেরা, বৃদ্ধ নেতারা ও ধর্ম-শিক্ষকেরা একসংগে জড়ো হলেন।
54. পিতর দূরে দূরে থেকে যীশুর পিছনে যেতে যেতে মহাপুরোহিতের উঠানে গিয়ে ঢুকলেন। সেখানে রক্ষীদের সংগে বসে তিনি আগুন পোহাতে লাগলেন।
55. প্রধান পুরোহিতেরা এবং মহাসভার সমস্ত লোকেরা যীশুকে মেরে ফেলবার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষ্যের খোঁজ করছিলেন, কিন্তু কোন সাক্ষ্যই তাঁরা পেলেন না।
56. যীশুর বিরুদ্ধে অনেকেই মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছিল কিন্তু তাদের সাক্ষ্য মিলল না।
57. তখন কয়েকজন উঠে তাঁর বিরুদ্ধে এই মিথ্যা সাক্ষ্য দিল,
58. “আমরা ওকে বলতে শুনেছি, ‘মানুষের তৈরী এই উপাসনা-ঘর আমি ভেংগে ফেলব এবং তিন দিনের মধ্যে এমন একটা উপাসনা-ঘর তৈরী করব যা মানুষের তৈরী নয়।’ ”
59. কিন্তু তবুও তাদের সাক্ষ্য মিলল না।
60. তখন মহাপুরোহিত সকলের সামনে দাঁড়িয়ে যীশুকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কি কোন উত্তরই দেবে না? তোমার বিরুদ্ধে এই লোকেরা এই সব কি সাক্ষ্য দিচ্ছে?”