19. শিষ্যেরা দুঃখিত হলেন এবং একজনের পরে আর একজন বলতে লাগলেন, “সে কি আমি, প্রভু?”
20. যীশু তাঁদের বললেন, “সে এই বারোজনের মধ্যে একজন, যে আমার সংগে পাত্রের মধ্যে রুটি ডুবাচ্ছে।
21. মনুষ্যপুত্রের মৃত্যুর বিষয়ে পবিত্র শাস্ত্রে যা লেখা আছে তিনি সেভাবেই মারা যাবেন বটে, কিন্তু হায় সেই লোক, যে তাঁকে ধরিয়ে দেয়! সেই লোকের জন্ম না হলেই বরং তার পক্ষে ভাল হত।”
22. খাওয়া-দাওয়া চলছে, এমন সময় যীশু রুটি নিয়ে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলেন এবং তা টুকরা টুকরা করে শিষ্যদের হাতে দিয়ে বললেন, “এই নাও, এটা আমার দেহ।”
23. তারপর তিনি পেয়ালা নিয়ে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলেন এবং শিষ্যদের দিলেন। তাঁরা সবাই সেই পেয়ালা থেকে খেলেন।
24. তখন যীশু তাঁদের বললেন, “এ আমার রক্ত যা অনেকের জন্য দেওয়া হবে। মানুষের জন্য ঈশ্বরের নতুন ব্যবস্থা আমার এই রক্তের দ্বারাই বহাল করা হবে।
25. তোমাদের সত্যি বলছি, যতদিন আমি ঈশ্বরের রাজ্যে আংগুর ফলের রস আবার নতুন ভাবে না খাই ততদিন পর্যন্ত আর আমি তা খাব না।”
26. এর পরে তাঁরা একটা গান গেয়ে বের হয়ে জৈতুন পাহাড়ে গেলেন।
27. যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন, “আমাকে নিয়ে তোমাদের সকলের মনে বাধা আসবে। পবিত্র শাস্ত্রে লেখা আছে, ‘আমি পালককে মেরে ফেলব, তাতে মেষগুলো ছড়িয়ে পড়বে।’
28. তবে আমাকে মৃত্যু থেকে জীবিত করা হলে পর আমি তোমাদের আগেই গালীলে যাব।”
29. তখন পিতর বললেন, “সবার মনে বাধা আসলেও আমার মনে বাধা আসবে না।”
30. যীশু তাঁকে বললেন, “আমি তোমাকে সত্যিই বলছি, আজ ভোর রাতে মোরগ দু’বার ডাকবার আগেই তুমি তিন বার বলবে যে, তুমি আমাকে চেনো না।”
31. কিন্তু পিতর আরও জোর দিয়ে বললেন, “যদি আমাকে আপনার সংগে মরতেও হয় তবুও আমি কখনও বলব না যে, আমি আপনাকে চিনি না।” শিষ্যেরা সবাই সেই একই কথা বললেন।
32. এর পরে যীশু ও তাঁর শিষ্যেরা গেৎশিমানী নামে একটা জায়গায় গেলেন। সেখানে যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন, “আমি যতক্ষণ প্রার্থনা করি ততক্ষণ তোমরা এখানে বসে থাক।”
33. এই বলে তিনি পিতর, যাকোব ও যোহনকে নিজের সংগে নিলেন এবং মনে খুব ব্যথা ও কষ্ট পেতে লাগলেন।
34. তিনি তাঁদের বললেন, “দুঃখে যেন আমার প্রাণ বেরিয়ে যাচ্ছে। তোমরা এখানে জেগে থাক।”
35. তার পরে তিনি কিছু দূরে গিয়ে মাটিতে উবুড় হয়ে পড়ে প্রার্থনা করলেন যেন সম্ভব হলে এই দুঃখের সময়টা তাঁর কাছ থেকে দূর হয়।
36. তিনি বললেন, “আব্বা, পিতা, তোমার কাছে তো সবই সম্ভব। এই দুঃখের পেয়ালা আমার কাছ থেকে তুমি নিয়ে যাও। তবুও আমার ইচ্ছামত না হোক, কিন্তু তোমার ইচ্ছামত হোক।”
37. এর পরে তিনি শিষ্যদের কাছে ফিরে এসে দেখলেন তাঁরা ঘুমিয়ে পড়েছেন। তিনি পিতরকে বললেন, “শিমোন, তুমি ঘুমাচ্ছ? এক ঘণ্টাও কি জেগে থাকতে পার নি?
38. জেগে থাক ও প্রার্থনা কর যেন পরীক্ষায় না পড়। অন্তরের ইচ্ছা আছে বটে, কিন্তু দেহ দুর্বল।”