13. তখন যীশু তাঁর দু’জন শিষ্যকে এই বলে পাঠিয়ে দিলেন, “তোমরা শহরে যাও। সেখানে এমন একজন পুরুষ লোকের দেখা পাবে, যে একটা কলসীতে করে জল নিয়ে যাচ্ছে। তোমরা তার পিছনে পিছনে যেয়ো।
14. সে যে বাড়ীতে ঢুকবে সেই বাড়ীর কর্তাকে বোলো, ‘গুরু বলছেন, শিষ্যদের সংগে যেখানে আমি উদ্ধার-পর্বের ভোজ খেতে পারি আমার সেই অতিথি-ঘরটা কোথায়?’
15. এতে সে তোমাদের উপরতলার একটা সাজানো বড় ঘর দেখিয়ে দেবে। সব কিছু সেখানেই প্রস্তুত কোরো।”
16. তখন শিষ্যেরা গিয়ে শহরে ঢুকলেন, আর যীশু যেমন বলেছিলেন সব কিছু তেমনই দেখতে পেলেন এবং উদ্ধার-পর্বের ভোজ প্রস্তুত করলেন।
17. সন্ধ্যা হলে পর যীশু সেই বারোজনকে নিয়ে সেখানে গেলেন।
18. তাঁরা যখন বসে খাচ্ছিলেন তখন যীশু বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তোমাদের মধ্যে একজন আমাকে ধরিয়ে দেবে, আর সে আমার সংগে খাচ্ছে।”
19. শিষ্যেরা দুঃখিত হলেন এবং একজনের পরে আর একজন বলতে লাগলেন, “সে কি আমি, প্রভু?”
20. যীশু তাঁদের বললেন, “সে এই বারোজনের মধ্যে একজন, যে আমার সংগে পাত্রের মধ্যে রুটি ডুবাচ্ছে।
21. মনুষ্যপুত্রের মৃত্যুর বিষয়ে পবিত্র শাস্ত্রে যা লেখা আছে তিনি সেভাবেই মারা যাবেন বটে, কিন্তু হায় সেই লোক, যে তাঁকে ধরিয়ে দেয়! সেই লোকের জন্ম না হলেই বরং তার পক্ষে ভাল হত।”
22. খাওয়া-দাওয়া চলছে, এমন সময় যীশু রুটি নিয়ে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলেন এবং তা টুকরা টুকরা করে শিষ্যদের হাতে দিয়ে বললেন, “এই নাও, এটা আমার দেহ।”
23. তারপর তিনি পেয়ালা নিয়ে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলেন এবং শিষ্যদের দিলেন। তাঁরা সবাই সেই পেয়ালা থেকে খেলেন।
24. তখন যীশু তাঁদের বললেন, “এ আমার রক্ত যা অনেকের জন্য দেওয়া হবে। মানুষের জন্য ঈশ্বরের নতুন ব্যবস্থা আমার এই রক্তের দ্বারাই বহাল করা হবে।
25. তোমাদের সত্যি বলছি, যতদিন আমি ঈশ্বরের রাজ্যে আংগুর ফলের রস আবার নতুন ভাবে না খাই ততদিন পর্যন্ত আর আমি তা খাব না।”
26. এর পরে তাঁরা একটা গান গেয়ে বের হয়ে জৈতুন পাহাড়ে গেলেন।
27. যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন, “আমাকে নিয়ে তোমাদের সকলের মনে বাধা আসবে। পবিত্র শাস্ত্রে লেখা আছে, ‘আমি পালককে মেরে ফেলব, তাতে মেষগুলো ছড়িয়ে পড়বে।’