1. উদ্ধার-পর্ব ও খামিহীন রুটির পর্বের তখন মাত্র আর দু’দিন বাকী। প্রধান পুরোহিতেরা ও ধর্ম-শিক্ষকেরা গোপনে যীশুকে ধরে মেরে ফেলবার উপায় খুঁজছিলেন।
2. তাঁরা বললেন, “পর্বের সময়ে নয়; লোকদের মধ্যে গোলমাল হতে পারে।”
3. যীশু তখন বৈথনিয়াতে চর্মরোগী শিমোনের বাড়ীতে ছিলেন। তিনি যখন খাচ্ছিলেন তখন একজন স্ত্রীলোক একটা সাদা পাথরের পাত্রে করে খুব দামী ও খাঁটি আতর আনল। পাত্রটা ভেংগে সে যীশুর মাথায় সেই আতর ঢেলে দিল।
4. সেখানে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন তাঁদের মধ্যে কয়েকজন বিরক্ত হয়ে একে অন্যকে বলতে লাগলেন, “এইভাবে আতরটা নষ্ট করা হল কেন?
5. এটা বিক্রি করলে তো তিনশো দীনারেরও বেশী হত এবং তা গরীবদের দেওয়া যেত।” এই বলে তাঁরা স্ত্রীলোকটিকে বকাবকি করতে লাগলেন।
6. তখন যীশু বললেন, “থাম, কেন তোমরা ওকে দুঃখ দিচ্ছ? ও তো আমার জন্য ভাল কাজই করেছে।
7. গরীবেরা সব সময় তোমাদের মধ্যে আছে, আর যখন ইচ্ছা তখনই তোমরা তাদের সাহায্য করতে পার, কিন্তু আমাকে তোমরা সব সময় পাবে না।
8. ও যা পেরেছে তা করেছে। আমাকে কবরের জন্য প্রস্তুত করতে ও আগেই আমার দেহের উপর আতর ঢেলে দিয়েছে।