15. যিরূশালেমে পৌঁছে যীশু উপাসনা-ঘরে ঢুকলেন এবং সেখানে যারা বেচা-কেনা করছিল তাদের তাড়িয়ে দিলেন। তিনি টাকা বদল করে দেবার লোকদের টেবিল ও যারা কবুতর বিক্রি করছিল তাদের বসবার জায়গা উল্টে ফেললেন।
16. উপাসনা-ঘরের উঠানের মধ্য দিয়ে তিনি কোন বেচা-কেনার জিনিস নিয়ে যেতে দিলেন না।
17. পরে শিক্ষা দেবার সময় তিনি সেই লোকদের বললেন, “শাস্ত্রে কি এই কথা লেখা নেই যে, ‘আমার ঘরকে সমস্ত জাতির প্রার্থনার ঘর বলা হবে’? কিন্তু তোমরা এটাকে ডাকাতের আড্ডাখানা করে তুলেছ!”
18. প্রধান পুরোহিতেরা ও ধর্ম-শিক্ষকেরা এই কথা শুনে যীশুকে মেরে ফেলবার উপায় খুঁজতে লাগলেন। তাঁরা যীশুকে ভয় করতেন, কারণ লোকেরা যীশুর শিক্ষায় আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিল।
19. সন্ধ্যা হলে পর শিষ্যদের নিয়ে তিনি শহরের বাইরে চলে গেলেন।
20. সকালবেলা সেই পথ দিয়ে আসবার সময় শিষ্যেরা দেখলেন সেই ডুমুর গাছটা শিকড় সুদ্ধ শুকিয়ে গেছে।
21. যীশুর কথা মনে করে পিতর যীশুকে বললেন, “গুরু, দেখুন, যে ডুমুর গাছটাকে আপনি অভিশাপ দিয়েছিলেন সেটা শুকিয়ে গেছে।”
22. তখন যীশু বললেন, “ঈশ্বরের উপরে বিশ্বাস রাখ।
23. আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, যদি কেউ অন্তরে কোন সন্দেহ না রেখে এই পাহাড়টাকে বলে, ‘উঠে সাগরে গিয়ে পড়,’ আর বিশ্বাস করে যে, সে যা বলল তা-ই হবে, তবে তার জন্য তা-ই করা হবে।
24. সেইজন্য আমি তোমাদের বলছি, প্রার্থনার মধ্যে তোমরা যা কিছু চাও, বিশ্বাস কোরো তোমরা তা পেয়েছ, আর তোমাদের জন্য তা-ই হবে।
25-26. তোমরা যখন প্রার্থনা কর তখন কারও বিরুদ্ধে যদি তোমাদের কোন কথা থাকে তবে তাকে ক্ষমা কোরো, যেন তোমাদের স্বর্গস্থ পিতা তোমাদেরও পাপ ক্ষমা করতে পারেন।”
27-28. পরে যীশু ও তাঁর শিষ্যেরা আবার যিরূশালেমে গেলেন। তিনি উপাসনা-ঘরে হেঁটে বেড়াচ্ছেন এমন সময় প্রধান পুরোহিতেরা, ধর্ম-শিক্ষকেরা ও বৃদ্ধ নেতারা তাঁর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কোন্ অধিকারে এই সব করছ? কে তোমাকে এই অধিকার দিয়েছে?”
29. উত্তরে যীশু বললেন, “আমি আপনাদের একটা কথা জিজ্ঞাসা করব। আপনারা যদি আমাকে উত্তর দিতে পারেন তবে আমিও আপনাদের বলব আমি কোন্ অধিকারে এই সব করছি।