21. যীশু ও তাঁর শিষ্যেরা কফরনাহূম শহরে গেলেন। পরে বিশ্রামবারে যীশু সমাজ-ঘরে গিয়ে শিক্ষা দিতে লাগলেন।
22. লোকেরা তাঁর শিক্ষায় আশ্চর্য হয়ে গেল, কারণ তিনি ধর্ম-শিক্ষকদের মত শিক্ষা দিচ্ছিলেন না বরং যাঁর অধিকার আছে সেই রকম লোকের মতই শিক্ষা দিচ্ছিলেন।
23. সেই সময় মন্দ আত্মায় পাওয়া একজন লোক সেই সমাজ-ঘরের মধ্যে ছিল।
24. সে চিৎকার করে বলল, “ওহে নাসরতের যীশু, আমাদের সংগে আপনার কি দরকার? আপনি কি আমাদের সর্বনাশ করতে এসেছেন? আমি জানি আপনি কে; আপনিই তো ঈশ্বরের সেই পবিত্রজন।”
25. যীশু তখন সেই মন্দ আত্মাকে ধমক দিয়ে বললেন, “চুপ কর, ওর মধ্য থেকে বের হয়ে যাও।”
26. সেই মন্দ আত্মা তখন লোকটাকে মুচ্ড়ে ধরল এবং জোরে চিৎকার করে তার মধ্য থেকে বের হয়ে গেল।
27. এই ঘটনা দেখে লোকেরা এমন আশ্চর্য হল যে, তারা নিজেদের মধ্যে বলতে লাগল, “এই সব কি ব্যাপার? এই অধিকার-ভরা নতুন শিক্ষাই বা কি? এমন কি, মন্দ আত্মাদেরও তিনি আদেশ দেন আর তারা তাঁর কথা শুনতে বাধ্য হয়।”
28. এতে গালীল প্রদেশের সব জায়গায় যীশুর কথা খুব তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ল।
29. পরে তাঁরা সমাজ-ঘর থেকে বের হয়ে শিমোন ও আন্দ্রিয়ের বাড়ীতে গেলেন। যাকোব এবং যোহনও তাঁদের সংগে ছিলেন।
30. শিমোনের শাশুড়ীর জ্বর হয়েছিল বলে তিনি শুয়ে ছিলেন। যীশু আসামাত্রই তাঁর কথা তাঁকে বলা হল।
31. তখন যীশু তাঁর কাছে গিয়ে হাত ধরে তাঁকে তুললেন। তাতে তাঁর জ্বর ছেড়ে গেল এবং তিনি তাঁদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করতে লাগলেন।
32. সেই দিন সূর্য ডুবে গেলে পর সন্ধ্যাবেলা লোকেরা সব রোগীদের ও মন্দ আত্মায় পাওয়া লোকদের যীশুর কাছে আনল।
33. শহরের সব লোক তখন সেই বাড়ীর দরজার কাছে এসে জড়ো হল।
34. যীশু অনেক রকমের রোগীকে সুস্থ করলেন এবং অনেক মন্দ আত্মা ছাড়ালেন। তিনি মন্দ আত্মাদের কথা বলতে দিলেন না, কারণ সেই মন্দ আত্মারা জানত তিনি কে।
35. পরদিন খুব ভোরে অন্ধকার থাকতেই যীশু উঠলেন এবং ঘর ছেড়ে একটা নির্জন জায়গায় গিয়ে প্রার্থনা করতে লাগলেন।
36. শিমোন ও তাঁর সংগীরা যীশুকে খুঁজছিলেন।
37. পরে তাঁকে খুজে পেয়ে বললেন, “সবাই আপনাকে খুঁজছে।”
38-39. যীশু তাঁদের বললেন, “চল, আমরা কাছের গ্রামগুলোতে যাই যেন আমি সেখানেও প্রচার করতে পারি, কারণ সেইজন্যই তো আমি এসেছি।” এইভাবে যীশু গালীলের সব জায়গায় গিয়ে যিহূদীদের সমাজ- ঘরগুলোতে প্রচার করলেন এবং মন্দ আত্মা দূর করলেন।