53. তাঁরা কবর থেকে বের হয়ে আসলেন এবং যীশু মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠলে পর পবিত্র শহরের মধ্যে গেলেন। তাঁরা সেখানে অনেককে দেখা দিলেন।
54. সেনাপতি ও তাঁর সংগে যারা যীশুকে পাহারা দিচ্ছিল তারা ভূমিকম্প ও অন্য সব ঘটনা দেখে ভীষণ ভয় পেয়ে বলল, “সত্যিই উনি ঈশ্বরের পুত্র ছিলেন।”
55. অনেক স্ত্রীলোকও সেখানে দূরে দাঁড়িয়ে সব কিছু দেখছিলেন। যীশুর সেবা করবার জন্য তাঁরা গালীল থেকে তাঁর সংগে সংগে এসেছিলেন।
56. তাঁদের মধ্যে ছিলেন মগ্দলীনী মরিয়ম, যাকোব ও যোষেফের মা মরিয়ম এবং সিবদিয়ের ছেলে যাকোব ও যোহনের মা।
57. সন্ধ্যা হলে পর অরিমাথিয়া গ্রামের যোষেফ নামে একজন ধনী লোক সেখানে আসলেন। ইনি যীশুর শিষ্য হয়েছিলেন।
58. পীলাতের কাছে গিয়ে তিনি যীশুর দেহটা চাইলেন। তখন পীলাত তাঁকে সেই দেহটা দিতে আদেশ দিলেন।
59. যোষেফ যীশুর দেহটা নিয়ে গিয়ে পরিষ্কার কাপড়ে জড়ালেন,
60. আর যে নতুন কবর তিনি নিজের জন্য পাহাড়ের মধ্যে কেটে রেখেছিলেন সেখানে সেই দেহটা রাখলেন। পরে সেই কবরের মুখে বড় একটা পাথর গড়িয়ে দিয়ে তিনি চলে গেলেন।
61. কিন্তু মগ্দলীনী মরিয়ম ও সেই অন্য মরিয়ম সেখানে সেই কবরের সামনে বসে রইলেন।
62. পরের দিন, অর্থাৎ আয়োজন-দিনের পরের দিন প্রধান পুরোহিতেরা এবং ফরীশীরা পীলাতের কাছে জড়ো হয়ে বললেন,
63. “হুজুর, আমাদের মনে পড়েছে, সেই ঠগটা বেঁচে থাকতে বলেছিল, ‘আমি তিন দিন পরে বেঁচে উঠব।’
64. সেইজন্য আদেশ করুন যেন তিন দিন পর্যন্ত কবরটা পাহারা দেওয়া হয়। না হলে তাঁর শিষ্যেরা হয়তো এসে তাঁর দেহটা চুরি করে নিয়ে গিয়ে লোকদের বলবে, ‘তিনি মৃত্যু থেকে বেঁচে উঠেছেন।’ তাহলে প্রথম ছলনার চেয়ে শেষ ছলনাটা আরও খারাপ হবে।”
65. তখন পীলাত তাঁদের বললেন, “পাহারাদারদের নিয়ে গিয়ে আপনারা যেভাবে পারেন সেইভাবে পাহারা দেবার ব্যবস্থা করুন।”