26. তখন পীলাত বারাব্বাকে লোকদের কাছে ছেড়ে দিলেন, কিন্তু যীশুকে ভীষণভাবে চাবুক মারবার হুকুম দিয়ে ক্রুশে দেবার জন্য দিলেন।
27. তখন প্রধান শাসনকর্তা পীলাতের সৈন্যেরা যীশুকে নিয়ে তাঁর বাড়ীর ভিতরে গেল এবং সমস্ত সৈন্যদলকে যীশুর চারদিকে জড়ো করল।
28. তারা যীশুর কাপড়-চোপড় খুলে নিয়ে তাঁকে লাল রংয়ের পোশাক পরাল।
29. পরে তারা কাঁটা-লতা দিয়ে একটা মুকুট গেঁথে তাঁর মাথায় পরিয়ে দিল, আর তাঁর ডান হাতে একটা লাঠি দিল। তার পরে তাঁর সামনে হাঁটু পেতে তাঁকে তামাশা করে বলল, “যিহূদী-রাজ, জয় হোক!”
30. তখন তাঁর গায়ে তারা থুথু দিল এবং সেই লাঠি দিয়ে তাঁর মাথায় বারবার আঘাত করল।
31. তাঁকে তামাশা করবার পর তারা সেই পোশাক খুলে নিল এবং তাঁর নিজের কাপড়-চোপড় পরিয়ে তাঁকে ক্রুশে দেবার জন্য নিয়ে চলল।
32. সেখান থেকে বের হয়ে যাবার সময় সৈন্যেরা কুরীণী শহরের শিমোন নামে একজন লোকের দেখা পেল। সৈন্যেরা তাকে যীশুর ক্রুশ বয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য করল।
33-34. পরে তারা ‘গল্গথা,’ অর্থাৎ ‘মাথার খুলির স্থান’ নামে একটা জায়গায় এসে যীশুকে তেতো মিশানো সির্কা খেতে দিল। যীশু তা মুখে দিয়ে আর খেতে চাইলেন না।
35. যীশুকে ক্রুশে দেবার পর সৈন্যেরা গুলিবাঁট করে তাঁর কাপড়-চোপড় নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিল।
36. পরে তারা সেখানে বসে তাঁকে পাহারা দিতে লাগল।
37. তারা ক্রুশে যীশুর মাথার উপরের দিকে এই দোষ-নামা লাগিয়ে দিল, “এ যীশু, যিহূদীদের রাজা।”
38. তারা দু’জন ডাকাতকেও যীশুর সংগে ক্রুশে দিল, একজনকে ডান দিকে আর অন্যজনকে বাঁ দিকে।
39. যে সব লোক সেই পথ দিয়ে যাচ্ছিল তারা মাথা নেড়ে যীশুকে ঠাট্টা করে বলল,
40. “তুমি না উপাসনা-ঘর ভেংগে আবার তিন দিনের মধ্যে তৈরী করতে পার! তাহলে এখন নিজেকে রক্ষা কর। যদি তুমি ঈশ্বরের পুত্র হও তবে ক্রুশ থেকে নেমে এস।”
41. প্রধান পুরোহিতেরা ও ধর্ম-শিক্ষকেরা এবং বৃদ্ধ নেতারাও তাঁকে ঠাট্টা করে বললেন,