33. সেইভাবে তোমরা এই সব ঘটনা দেখলে পর বুঝতে পারবে যে, মনুষ্যপুত্র কাছে এসে গেছেন, এমন কি, দরজায় উপস্থিত।
34. আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যখন এই সব হবে তখনও এই কালের কিছু লোক বেঁচে থাকবে।
35. আকাশ ও পৃথিবীর শেষ হবে, কিন্তু আমার কথা চিরদিন থাকবে।
36. “সেই দিন ও সেই সময়ের কথা কেউই জানে না, স্বর্গের দূতেরাও না, পুত্রও না; কেবল পিতাই জানেন।
37. “নোহের সময়ে যে অবস্থা হয়েছিল মনুষ্যপুত্রের আসবার সময়ে ঠিক সেই অবস্থাই হবে।
38. বন্যার আগের দিনগুলোতে নোহ জাহাজে না ঢোকা পর্যন্ত লোকে খাওয়া-দাওয়া করেছে, বিয়ে করেছে এবং বিয়ে দিয়েছে।
39. যে পর্যন্ত না বন্যা এসে তাদের সবাইকে ভাসিয়ে নিয়ে গেল সেই পর্যন্ত তারা কিছুই বুঝতে পারল না। মনুষ্যপুত্রের আসাও ঠিক সেই রকমই হবে।
40. তখন দু’জন লোক মাঠে থাকবে; একজনকে নেওয়া হবে এবং অন্যজনকে ফেলে যাওয়া হবে।
41. দু’জন স্ত্রীলোক জাঁতা ঘুরাবে; একজনকে নেওয়া হবে, অন্যজনকে ফেলে যাওয়া হবে।
42. “তাই বলি, তোমরা সতর্ক থাক, কারণ তোমাদের প্রভু কোন্ দিন আসবেন তা তোমরা জান না।
43. তবে তোমরা এই কথা জেনো, ঘরের কর্তা যদি জানতেন কোন্ সময় চোর আসবে তাহলে তিনি জেগেই থাকতেন, নিজের ঘরে তিনি চোরকে ঢুকতে দিতেন না।
44. সেইজন্য তোমরাও প্রস্তুত থাক, কারণ যে সময়ের কথা তোমরা চিন্তাও করবে না সেই সময়েই মনুষ্যপুত্র আসবেন।
45. “সেই বিশ্বস্ত ও বুদ্ধিমান দাস কে, যাকে তার মনিব তাঁর অন্যান্য দাসদের ঠিক সময়ে খাবার দেবার ভার দিয়েছেন?
46. সেই দাস ধন্য, যাকে তার মনিব এসে বিশ্বস্তভাবে কাজ করতে দেখবেন।
47. আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তিনি সেই দাসকেই তাঁর সমস্ত বিষয়-সম্পত্তির ভার দেবেন।
48. কিন্তু ধর, সেই দাস দুষ্ট, আর সে মনে মনে বলল, ‘আমার মনিব আসতে দেরি করছেন।’
49. সেই সুযোগে সে তার সংগী-দাসদের মারধর করতে লাগল এবং মাতালদের সংগে খাওয়া-দাওয়া করে মদ খেতে লাগল।
50. কিন্তু যেদিন ও যে সময়ের কথা সেই দাস চিন্তাও করবে না, জানবেও না, সেই দিন ও সেই সময়েই তার মনিব এসে হাজির হবেন।
51. তখন তিনি তাকে কেটে দু’টুকরা করে ভণ্ডদের মধ্যে তার স্থান ঠিক করবেন। সেখানে লোকে কান্নাকাটি করবে ও যন্ত্রণায় দাঁতে দাঁত ঘষতে থাকবে।