27. বিদ্যুৎ যেমন পূর্ব দিকে দেখা দিয়ে পশ্চিম দিক পর্যন্ত চম্কে যায় মনুষ্যপুত্রের আসা সেইভাবেই হবে।
28. যেখানে মৃতদেহ থাকবে সেখানেই শকুন এসে একসংগে জড়ো হবে।
29. “সেই সময়কার কষ্টের ঠিক পরেই সূর্য অন্ধকার হয়ে যাবে, চাঁদ আর আলো দেবে না, তারাগুলো আকাশ থেকে খসে পড়ে যাবে এবং চাঁদ-সূর্য-তারা আর স্থির থাকবে না।
30. এমন সময় আকাশে মনুষ্যপুত্রের চিহ্ন দেখা দেবে। তখন পৃথিবীর সমস্ত লোক দুঃখে বুক চাপড়াবে। তারা মনুষ্যপুত্রকে শক্তি ও মহিমার সংগে মেঘে করে আসতে দেখবে।
31. জোরে জোরে তূরী বেজে উঠবে আর সংগে সংগে মনুষ্যপুত্র তাঁর স্বর্গদূতদের পাঠিয়ে দেবেন। সেই দূতেরা পৃথিবীর এক দিক থেকে অন্য দিক পর্যন্ত চার দিক থেকে তাঁর বাছাই করা লোকদের একসংগে জড়ো করবেন।
32. “ডুমুর গাছ দেখে শিক্ষা লাভ কর। যখন তার ডালপালা নরম হয়ে তাতে পাতা বের হয় তখন তোমরা জানতে পার যে, গরমকাল কাছে এসেছে।
33. সেইভাবে তোমরা এই সব ঘটনা দেখলে পর বুঝতে পারবে যে, মনুষ্যপুত্র কাছে এসে গেছেন, এমন কি, দরজায় উপস্থিত।
34. আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যখন এই সব হবে তখনও এই কালের কিছু লোক বেঁচে থাকবে।
35. আকাশ ও পৃথিবীর শেষ হবে, কিন্তু আমার কথা চিরদিন থাকবে।
36. “সেই দিন ও সেই সময়ের কথা কেউই জানে না, স্বর্গের দূতেরাও না, পুত্রও না; কেবল পিতাই জানেন।
37. “নোহের সময়ে যে অবস্থা হয়েছিল মনুষ্যপুত্রের আসবার সময়ে ঠিক সেই অবস্থাই হবে।
38. বন্যার আগের দিনগুলোতে নোহ জাহাজে না ঢোকা পর্যন্ত লোকে খাওয়া-দাওয়া করেছে, বিয়ে করেছে এবং বিয়ে দিয়েছে।