3. সেই ভোজে নিমন্ত্রিত লোকদের ডাকবার জন্য তিনি তাঁর দাসদের পাঠিয়ে দিলেন, কিন্তু তারা আসতে চাইল না।
4. তখন তিনি আবার অন্য দাসদের দিয়ে নিমন্ত্রিতদের বলে পাঠালেন, ‘দেখুন, আমি আমার বলদ ও মোটাসোটা বাছুরগুলো কেটে ভোজ প্রস্তুত করেছি। এখন সবই প্রস্তুত, আপনারা ভোজে আসুন।’
5. “নিমন্ত্রিত লোকেরা কিন্তু সেই দাসদের কথা না শুনে একজন তার নিজের ক্ষেতে ও আর একজন তার নিজের কাজে চলে গেল।
6. বাকী সবাই রাজার দাসদের ধরে অপমান করল ও মেরে ফেলল।
7. তখন রাজা খুব রেগে গেলেন এবং সৈন্য পাঠিয়ে তিনি সেই খুনীদের ধ্বংস করলেন আর তাদের শহর পুড়িয়ে দিলেন।
8. পরে তিনি তাঁর দাসদের বললেন, ‘ভোজ প্রস্তুত, কিন্তু যাদের নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল তারা এর যোগ্য নয়।
9. তোমরা বরং রাস্তার মোড়ে মোড়ে যাও, আর যত জনের দেখা পাও সবাইকে বিয়ের ভোজে ডেকে আন।’
10. তখন সেই দাসেরা বাইরে রাস্তায় রাস্তায় গিয়ে ভাল-মন্দ যাদের পেল সবাইকে ডেকে আনল। তাতে বিয়ে-বাড়ী সেই অতিথিতে ভরে গেল।
11. “এর পর রাজা অতিথিদের দেখবার জন্য ভিতরে এসে দেখলেন,
12. একজন লোক বিয়ের কাপড় না পরেই সেখানে এসেছে। রাজা তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘বন্ধু, বিয়ের কাপড় ছাড়া কেমন করে এখানে ঢুকলে?’ সে এর কোন উত্তর দিতে পারল না।
13. তখন রাজা চাকরদের বললেন, ‘এর হাত-পা বেঁধে বাইরের অন্ধকারে ফেলে দাও। সেই জায়গায় লোকে কান্নাকাটি করবে ও যন্ত্রণায় দাঁতে দাঁত ঘষতে থাকবে।’ ”
14. গল্পের শেষে যীশু বললেন, “এইজন্য বলি, অনেক লোককে ডাকা হয়েছে কিন্তু অল্প লোককে বেছে নেওয়া হয়েছে।”
15. তখন ফরীশীরা চলে গেলেন এবং কেমন করে যীশুকে তাঁর কথার ফাঁদে ফেলা যায় সেই পরামর্শ করতে লাগলেন।
16. তারা হেরোদের দলের কয়েকজন লোকের সংগে নিজেদের কয়েকজন শিষ্যকে যীশুর কাছে পাঠালেন। তারা যীশুকে বলল, “গুরু, আমরা জানি আপনি একজন সৎ লোক। ঈশ্বরের পথের বিষয়ে আপনি সত্যভাবে শিক্ষা দিয়ে থাকেন। লোকে কি মনে করবে না করবে তাতে আপনার কিছু যায় আসে না, কারণ আপনি কারও মুখ চেয়ে কিছু করেন না।
17. তাহলে আপনি বলুন, মোশির আইন- কানুন অনুসারে রোম-সম্রাটকে কি কর্ দেওয়া উচিত? আপনার কি মনে হয়?”
18. তাদের মন্দ উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে যীশু বললেন, “ভণ্ডেরা, কেন আমাকে পরীক্ষা করছ?
19. যে টাকায় কর্ দেবে তার একটা আমাকে দেখাও।” তারা একটা দীনার যীশুর কাছে আনল।