5. “তোমরা সিয়োন কন্যাকে বল, তোমার রাজা তোমার কাছে আসছেন। তিনি নম্র। তিনি গাধার উপরে, গাধীর বাচ্চার উপরে চড়ে আসছেন।”
6. যীশু সেই শিষ্যদের যেমন আদেশ দিয়েছিলেন তাঁরা গিয়ে তেমনি করলেন।
7. তাঁরা সেই গাধা ও গাধীর বাচ্চাটা এনে তাদের উপর নিজেদের গায়ের চাদর পেতে দিলে পর যীশু বসলেন।
8. অনেক লোক পথের উপরে তাদের গায়ের চাদর বিছিয়ে দিল। অন্যেরা গাছের ডাল কেটে নিয়ে পথের উপরে ছড়াল।
9. যারা যীশুর সামনে ও পিছনে যাচ্ছিল তারা চিৎকার করে বলতে লাগল,“হোশান্না, দায়ূদের বংশধর!প্রভুর নামে যিনি আসছেন তাঁর গৌরব হোক।স্বর্গেও হোশান্না!”
10. যীশু যিরূশালেমে ঢুকলে পর শহরের সমস্ত জায়গায় হুলস্থূল পড়ে গেল। সবাই জিজ্ঞাসা করতে লাগল, “ইনি কে?”
11. লোকেরা বলল, “উনি গালীলের নাসরত গ্রামের নবী যীশু।”
12. পরে যীশু উপাসনা-ঘরে ঢুকলেন এবং সেখানে যারা কেনা-বেচা করছিল তাদের সবাইকে তাড়িয়ে দিলেন। তিনি টাকা বদল করে দেবার লোকদের টেবিল এবং যারা কবুতর বিক্রি করছিল তাদের বসবার জায়গা উল্টে দিয়ে বললেন,
13. “পবিত্র শাস্ত্রে ঈশ্বর বলেছেন, ‘আমার ঘরকে প্রার্থনার ঘর বলা হবে,’ কিন্তু তোমরা এটাকে ডাকাতের আড্ডাখানা করে তুলছ।”
14. এর পরে অন্ধ ও খোঁড়া লোকেরা উপাসনা-ঘরে যীশুর কাছে আসল, আর তিনি তাদের সুস্থ করলেন।
15. তিনি যে সব আশ্চর্য কাজ করছিলেন প্রধান পুরোহিতেরা ও ধর্ম-শিক্ষকেরা তা দেখলেন। তাঁরা উপাসনা-ঘরের মধ্যে ছেলেমেয়েদের চিৎকার করে বলতে শুনলেন, “হোশান্না, দায়ূদের বংশধর!”
16. এই সব দেখে-শুনে তারা বিরক্ত হয়ে যীশুকে বললেন, “ওরা যা বলছে তা তুমি শুনতে পাচ্ছ?”যীশু তাঁদের বললেন, “হ্যাঁ, পাচ্ছি। শাস্ত্রে আপনারা কি কখনও পড়েন নি:ছোট ছেলেমেয়ে এবং শিশুদের কথার মধ্যেতুমি নিজের জন্য প্রশংসার ব্যবস্থা করেছ?”
17. এর পরে যীশু তাঁদের ছেড়ে শহরের বাইরে বৈথনিয়া গ্রামে চলে গেলেন এবং সেখানেই রাতটা কাটালেন।
18. পরদিন সকালে শহরে ফিরে আসবার সময় যীশুর খিদে পেল।
19. পথের পাশে একটা ডুমুর গাছ দেখে তিনি গাছটার কাছে গেলেন, কিন্তু তাতে পাতা ছাড়া আর কিছুই দেখতে পেলেন না। তখন তিনি গাছটাকে বললেন, “আর কখনও তোমার মধ্যে ফল না ধরুক।” আর তখনই ডুমুর গাছটা শুকিয়ে গেল।