14. এর পরে অন্ধ ও খোঁড়া লোকেরা উপাসনা-ঘরে যীশুর কাছে আসল, আর তিনি তাদের সুস্থ করলেন।
15. তিনি যে সব আশ্চর্য কাজ করছিলেন প্রধান পুরোহিতেরা ও ধর্ম-শিক্ষকেরা তা দেখলেন। তাঁরা উপাসনা-ঘরের মধ্যে ছেলেমেয়েদের চিৎকার করে বলতে শুনলেন, “হোশান্না, দায়ূদের বংশধর!”
16. এই সব দেখে-শুনে তারা বিরক্ত হয়ে যীশুকে বললেন, “ওরা যা বলছে তা তুমি শুনতে পাচ্ছ?”যীশু তাঁদের বললেন, “হ্যাঁ, পাচ্ছি। শাস্ত্রে আপনারা কি কখনও পড়েন নি:ছোট ছেলেমেয়ে এবং শিশুদের কথার মধ্যেতুমি নিজের জন্য প্রশংসার ব্যবস্থা করেছ?”
17. এর পরে যীশু তাঁদের ছেড়ে শহরের বাইরে বৈথনিয়া গ্রামে চলে গেলেন এবং সেখানেই রাতটা কাটালেন।
18. পরদিন সকালে শহরে ফিরে আসবার সময় যীশুর খিদে পেল।
19. পথের পাশে একটা ডুমুর গাছ দেখে তিনি গাছটার কাছে গেলেন, কিন্তু তাতে পাতা ছাড়া আর কিছুই দেখতে পেলেন না। তখন তিনি গাছটাকে বললেন, “আর কখনও তোমার মধ্যে ফল না ধরুক।” আর তখনই ডুমুর গাছটা শুকিয়ে গেল।
20. শিষ্যেরা তা দেখে আশ্চর্য হয়ে বললেন, “ডুমুর গাছটা এত তাড়াতাড়ি কেমন করে শুকিয়ে গেল?”
21. উত্তরে যীশু তাঁদের বললেন, “আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, তোমরা সন্দেহ না করে যদি বিশ্বাস কর তবে ডুমুর গাছের উপরে আমি যা করেছি তোমরাও তা করতে পারবে। কেবল তা নয়, কিন্তু যদি এই পাহাড়কে বল, ‘উঠে সাগরে গিয়ে পড়,’ তবে তাও হবে।
22. তোমরা যদি বিশ্বাস করে প্রার্থনা কর তবে তোমরা যা চাইবে তা-ই পাবে।”
23. পরে যীশু আবার উপাসনা-ঘরে গেলেন। যখন তিনি সেখানে শিক্ষা দিচ্ছিলেন তখন প্রধান পুরোহিতেরা ও যিহূদীদের বৃদ্ধ নেতারা তাঁর কাছে এসে বললেন, “তুমি কোন্ অধিকারে এই সব করছ? এই অধিকার তোমাকে কে দিয়েছে?”
24. যীশু তাঁদের বললেন, “আমিও আপনাদের একটা কথা জিজ্ঞাসা করব। আপনারা যদি আমাকে তার উত্তর দিতে পারেন তবে আমিও আপনাদের বলব আমি কোন্ অধিকারে এই সব করছি।
25. বলুন দেখি, বাপ্তিস্ম দেবার অধিকার যোহন কোথা থেকে পেয়েছিলেন? ঈশ্বরের কাছ থেকে, না মানুষের কাছ থেকে?”তখন তাঁরা নিজেদের মধ্যে এই আলোচনা করলেন, “আমরা যদি বলি, ‘ঈশ্বরের কাছ থেকে,’ তাহলে সে আমাদের বলবে, ‘তবে কেন আপনারা যোহনকে বিশ্বাস করেন নি?’
26. আবার যদি বলি, ‘মানুষের কাছ থেকে,’ তবে লোকদের কাছ থেকে আমাদের ভয় আছে, কারণ যোহনকে সবাই নবী বলে মনে করে।”