19. তাঁরা তাঁর বিচার করে তাঁকে মৃত্যুর উপযুক্ত বলে স্থির করবেন। তাঁরা তাঁকে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করবার জন্য এবং চাবুক মারবার ও ক্রুশে দেবার জন্য অযিহূদীদের হাতে দেবেন; পরে তৃতীয় দিনে তিনি মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠবেন।”
20. পরে সিবদিয়ের দুই ছেলেকে তাঁদের মা সংগে করে নিয়ে যীশুর কাছে আসলেন এবং তাঁর কাছে কিছু চাইবার উদ্দেশ্যে তাঁকে প্রণাম করলেন।
21. যীশু তাঁকে বললেন, “আপনি কি চান?”তিনি বললেন, “আপনি এই আদেশ দিন যেন আপনার রাজ্যে আমার এই দুই ছেলের একজন আপনার ডান পাশে আর একজন বাঁ পাশে বসতে পায়।”
22. উত্তরে যীশু বললেন, “তোমরা কি চাইছ তা জান না। যে দুঃখের পেয়ালায় আমি খেতে যাচ্ছি তাতে কি তোমরা খেতে পার?”তাঁরা তাঁকে বললেন, “পারি।”
23. তখন যীশু তাঁদের বললেন, “সত্যিই তোমরা আমার পেয়ালায় খাবে, কিন্তু আমার ডানে বা বাঁয়ে বসতে দেবার অধিকার আমার নেই। আমার পিতা যাদের জন্য তা ঠিক করে রেখেছেন তারাই তা পাবে।”
24. এই সব কথা শুনে বাকী দশজন শিষ্য সেই দুই ভাইয়ের উপর বিরক্ত হলেন।
25. তখন যীশু শিষ্যদের ডেকে বললেন, “তোমরা এই কথা জান যে, অযিহূদীদের মধ্যে শাসনকর্তারা তাদের প্রভু হয় এবং নেতারা তাদের উপর হুকুম চালায়।
26. কিন্তু তোমাদের মধ্যে তা হওয়া উচিত নয়। তোমাদের মধ্যে যে বড় হতে চায় তাকে তোমাদের সেবাকারী হতে হবে,
27. আর যে প্রথম হতে চায় তাকে তোমাদের দাস হতে হবে।
28. মনে রেখো, মনুষ্যপুত্র সেবা পেতে আসেন নি বরং সেবা করতে এসেছেন এবং অনেক লোকের মুক্তির মূল্য হিসাবে তাদের প্রাণের পরিবর্তে নিজের প্রাণ দিতে এসেছেন।”
29. যীশু ও তাঁর শিষ্যেরা যিরীহো শহর ছেড়ে যাবার সময় অনেক লোক যীশুর পিছনে পিছনে চলল।
30. পথের ধারে দু’জন অন্ধ লোক বসে ছিল। যীশু সেই পথ দিয়ে যাচ্ছেন শুনে তারা চিৎকার করে বলল, “প্রভু, দায়ূদের বংশধর, আমাদের দয়া করুন।”
31. তারা যেন চুপ করে সেইজন্য লোকেরা তাদের ধমক দিল। কিন্তু তারা আরও চিৎকার করে বলল, “প্রভু, দায়ূদের বংশধর, আমাদের দয়া করুন।”