5. তাঁরা তাঁকে বললেন, “যিহূদিয়ার বৈৎলেহম গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করবেন, কারণ নবী এই কথা লিখেছেন:
6. যিহূদা দেশের বৈৎলেহম,যিহূদার মধ্যে তুমি কোনমতেই ছোট নও,কারণ তোমার মধ্য থেকেইএমন একজন শাসনকর্তা আসবেনযিনি আমার ইস্রায়েল জাতিকে পরিচালনা করবেন।”
7. তখন হেরোদ সেই পণ্ডিতদের গোপনে ডাকলেন এবং জেনে নিলেন ঠিক কোন্ সময়ে তারাটা দেখা গিয়েছিল।
8. তিনি পণ্ডিতদের এই কথা বলে বৈৎলেহমে পাঠিয়ে দিলেন, “আপনারা গিয়ে ভাল করে সেই শিশুটির খোঁজ করুন। তাঁকে খুঁজে পেলে পর আমাকে জানাবেন যেন আমিও গিয়ে তাঁকে প্রণাম করতে পারি।”
9. রাজার কথা শুনে পণ্ডিতেরা চলে গেলেন। তাঁরা পূর্ব দিকে যে তারাটা দেখেছিলেন সেই তারাটা তাঁদের আগে আগে চলল। শিশুটি যেখানে ছিলেন সেই ঘরের উপরে এসে না থামা পর্যন্ত তারাটা চলতেই থাকল।
12. পরে ঈশ্বর স্বপ্নে তাঁদের সাবধান করে দিলেন যেন তাঁরা হেরোদের কাছে ফিরে না যান। তখন তাঁরা অন্য পথে নিজেদের দেশে ফিরে গেলেন।
13. পণ্ডিতেরা চলে যাবার পর প্রভুর এক দূত স্বপ্নে যোষেফকে দেখা দিয়ে বললেন, “ওঠো, ছেলেটি ও তাঁর মাকে নিয়ে মিসর দেশে পালিয়ে যাও আর আমি যতদিন না বলি ততদিন পর্যন্ত সেখানেই থাক, কারণ ছেলেটিকে মেরে ফেলবার জন্য হেরোদ তাঁর খোঁজ করবে।”
16. পণ্ডিতেরা তাঁকে ঠকিয়েছেন দেখে হেরোদ ভীষণ রেগে গেলেন। সেই পণ্ডিতদের কাছ থেকে যে সময়ের কথা তিনি জেনে নিয়েছিলেন সেই সময়ের হিসাব মত দুই বছর ও তার কম বয়সের যত ছেলে বৈৎলেহম ও তাঁর আশেপাশের জায়গাগুলোতে ছিল সকলকে মেরে ফেলবার আদেশ দিলেন।
17. তাতে নবী যিরমিয়ের মধ্য দিয়ে এই যে কথা বলা হয়েছিল তা পূর্ণ হল:
18. রামায় ভীষণ কান্নাকাটির শব্দ শোনা যাচ্ছে;রাহেল তার সন্তানদের জন্য কাঁদছে,কিছুতেই শান্ত হচ্ছে না,কারণ তারা আর নেই।
19. হেরোদ মারা যাবার পর প্রভুর এক দূত মিসর দেশে যোষেফকে স্বপ্নে দেখা দিয়ে বললেন,
20. “ওঠো, ছেলেটি এবং তাঁর মাকে নিয়ে ইস্রায়েল দেশে ফিরে যাও। ছেলেটিকে যারা মেরে ফেলতে চেয়েছিল তারা মারা গেছে।”
21. তখন যোষেফ উঠে সেই ছেলেটি ও তাঁর মাকে নিয়ে ইস্রায়েল দেশে গেলেন।
22. যিহূদিয়া প্রদেশে সেই সময় হেরোদের পরে তাঁর ছেলে আর্খিলায় রাজা হয়েছিলেন। এই কথা শুনে যোষেফ সেখানে যেতে ভয় পেলেন। পরে স্বপ্নে আদেশ পেয়ে তিনি গালীল প্রদেশে চলে গেলেন,
23. আর নাসরত নামে একটা গ্রামে গিয়ে বাস করতে লাগলেন। এটা ঘটল যাতে নবীদের মধ্য দিয়ে এই যে কথা বলা হয়েছিল তা পূর্ণ হয়: “তাঁকে নাসরতীয় বলে ডাকা হবে।”