7. হায় জগৎ! পাপের পথে নিয়ে যাবার জন্য কত উস্কানিই না তোমার মধ্যে আছে! অবশ্য সেই সব উস্কানি আসবেই; তবুও ধিক্ সেই লোককে, যার মধ্য দিয়ে সেই উস্কানি আসে!
8. “তোমার হাত কিম্বা পা যদি তোমাকে পাপের পথে টানে তবে তা কেটে ফেলে দাও। দুই হাত ও দুই পা নিয়ে চিরকালের আগুনে পড়বার চেয়ে বরং নুলা বা খোঁড়া হয়ে জীবনে ঢোকা তোমার পক্ষে ভাল।
9. তোমার চোখ যদি তোমাকে পাপের পথে টানে তবে তা উপ্ড়ে ফেলে দাও। দুই চোখ নিয়ে নরকের আগুনে পড়বার চেয়ে বরং কানা হয়ে জীবনে ঢোকা তোমার পক্ষে ভাল।
10. “দেখো, তোমরা যেন এই ছোটদের মধ্যে একজনকেও তুচ্ছ না কর। আমি তোমাদের বলছি, স্বর্গে তাদের দূতেরা সব সময় আমার স্বর্গস্থ পিতার মুখ দেখছেন।
11. “যা হারিয়ে গেছে তা উদ্ধার করবার জন্য মনুষ্যপুত্র এসেছেন। তোমরা কি মনে কর?
12. ধর, একজন লোকের একশোটা ভেড়া আছে। সেগুলোর মধ্যে যদি একটা ভুল পথে চলে যায় তবে সে কি নিরানব্বইটা পাহাড়ের ধারে রেখে সেই ভেড়াটা খুঁজতে যায় না?
13. আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, যদি সে সেটা পায় তবে যে নিরানব্বইটা ভুল পথে যায় নি, তাদের চেয়ে যেটা ভুল পথে চলে গিয়েছিল তার জন্য সে আরও বেশী আনন্দ করে।
14. ঠিক সেইভাবে, তোমাদের স্বর্গস্থ পিতার ইচ্ছা নয় যে, এই ছোটদের মধ্যে একজনও নষ্ট হয়।
15. “তোমার ভাই যদি তোমার বিরুদ্ধে অন্যায় করে তবে তার কাছে গিয়ে যখন আর কেউ থাকবে না তখন তার দোষ দেখিয়ে দিয়ো। যদি সে তোমার কথা শোনে তবে তুমি তো তোমার ভাইকে ফিরে পেলে।
16. কিন্তু যদি সে না শোনে তবে অন্য দু’একজনকে তোমার সংগে নিয়ে যেয়ো, যেন দুই বা তিনজন সাক্ষীর কথায় এই সব বিষয় সত্য বলে প্রমাণিত হয়।
17. যদি সে তাদের কথা না শোনে তবে মণ্ডলীকে বোলো। সে যদি মণ্ডলীর কথাও না শোনে তবে সে তোমার কাছে অযিহূদী বা কর্-আদায়কারীর মত হোক।
18. “আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, তোমরা পৃথিবীতে যা বাঁধবে তা স্বর্গেও বেঁধে রাখা হবে, আর যা খুলবে তা স্বর্গেও খুলে দেওয়া হবে।