2-3. তাঁদের সামনে যীশুর চেহারা বদলে গেল। তাঁর মুখ সূর্যের মত উজ্জ্বল এবং তাঁর কাপড় আলোর মত সাদা হয়ে গেল। তাঁরা মোশি এবং এলিয়কে যীশুর সংগে কথা বলতে দেখলেন।
10. শিষ্যেরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তাহলে ধর্ম-শিক্ষকেরা কেন বলেন যে, প্রথমে এলিয়ের আসা দরকার?”
11. যীশু তাঁদের উত্তর দিলেন, “সত্যিই এলিয় আসবেন এবং সব কিছু আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন।
12. কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, এলিয় এসেছিলেন আর লোকে তাঁকে চিনতে পারে নি। লোকেরা তাঁর উপর যা ইচ্ছা তা-ই করেছে। এইভাবে মনুষ্যপুত্রকেও লোকদের হাতে কষ্টভোগ করতে হবে।”
13. তখন শিষ্যেরা বুঝতে পারলেন যে, তিনি তাঁদের কাছে বাপ্তিস্মদাতা যোহনের বিষয় বলছেন।
14. যীশু ও তাঁর শিষ্যেরা যখন লোকদের কাছে ফিরে আসলেন তখন একজন লোক এসে যীশুর সামনে হাঁটু পেতে বসে বলল,
15. “আপনি আমার ছেলেটির উপর দয়া করুন। সে মৃগী রোগে খুব কষ্ট পাচ্ছে। প্রায়ই সে আগুনে এবং জলে পড়ে যায়।
16. আমি তাকে আপনার শিষ্যদের কাছে এনেছিলাম কিন্তু তাঁরা তাকে ভাল করতে পারলেন না।”
17. উত্তরে যীশু বললেন, “অবিশ্বাসী ও দুষ্ট লোকেরা! আর কতকাল আমি তোমাদের সংগে সংগে থাকব? কতদিন তোমাদের সহ্য করব? ছেলেটিকে এখানে আমার কাছে আন।”
18. যীশু সেই মন্দ আত্মাকে ধমক দিলে পর সে ছেলেটির মধ্য থেকে বের হয়ে গেল, আর ছেলেটি তখনই সুস্থ হল।
19. এর পর শিষ্যেরা গোপনে যীশুর কাছে এসে বললেন, “আমরা কেন সেই মন্দ আত্মাকে ছাড়াতে পারলাম না?”
20. যীশু তাঁদের বললেন, “তোমাদের অল্প বিশ্বাসের জন্যই পারলে না। আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, যদি একটা সর্ষে দানার মত বিশ্বাসও তোমাদের থাকে তবে তোমরা এই পাহাড়কে বলবে, ‘এখান থেকে সরে ওখানে যাও,’ আর তাতে ওটা সরে যাবে। তোমাদের পক্ষে কিছুই অসম্ভব হবে না।
21. প্রার্থনা ও উপবাস ছাড়া এই রকম মন্দ আত্মা আর কিছুতে বের হয় না।
22. পরে গালীল দেশের মধ্য দিয়ে যাবার সময় যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন, “মনুষ্যপুত্রকে লোকদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হবে।
23. লোকেরা তাঁকে মেরে ফেলবে, আর তৃতীয় দিনে তিনি মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠবেন।” এতে শিষ্যেরা খুব দুঃখিত হলেন।
24. পরে যীশু ও তাঁর শিষ্যেরা যখন কফরনাহূমে গেলেন তখন উপাসনা-ঘরের কর্-আদায়কারীরা পিতরের কাছে এসে বললেন, “আপনাদের শিক্ষক কি উপাসনা-ঘরের কর্ দেন না?”