20. এই সবই মানুষকে অশুচি করে, কিন্তু হাত না ধুয়ে খেলে মানুষ অশুচি হয় না।”
21. পরে যীশু সেই জায়গা ছেড়ে সোর ও সীদোন এলাকায় চলে গেলেন।
22. সেখানকার একজন কনানীয় স্ত্রীলোক এসে চিৎকার করে বলতে লাগল, “হে প্রভু, দায়ূদের বংশধর, আমাকে দয়া করুন। মন্দ আত্মায় ধরবার দরুন আমার মেয়েটি ভীষণ কষ্ট পাচ্ছে।”
23. যীশু কিন্তু তাকে একটা কথাও বললেন না। তখন তাঁর শিষ্যেরা এসে তাঁকে অনুরোধ করে বললেন, “ওকে বিদায় করে দিন, কারণ ও আমাদের পিছনে পিছনে চিৎকার করছে।”
24. উত্তরে যীশু বললেন, “আমাকে কেবল ইস্রায়েল-বংশের হারানো মেষদের কাছেই পাঠানো হয়েছে।”
25. সেই স্ত্রীলোকটি কিন্তু যীশুর কাছে এসে তাঁকে প্রণাম করে বলল, “প্রভু, আমার এই উপকারটা করুন।”
26. যীশু বললেন, “ছেলেমেয়েদের খাবার নিয়ে কুকুরের সামনে ফেলা ভাল নয়।”
27. সে বলল, “ঠিক কথা, প্রভু; তবুও মনিবের টেবিল থেকে খাবারের যে সব টুকরা পড়ে তা কুকুরেই খায়।”
28. তখন যীশু তাকে বললেন, “সত্যিই তোমার বিশ্বাস খুব বেশী। তুমি যেমন চাও তেমনই হোক।” আর তখনই তার মেয়েটি সুস্থ হয়ে গেল।
29. পরে যীশু সেই জায়গা ছেড়ে গালীল সাগরের পার দিয়ে চললেন এবং একটা পাহাড়ে উঠে সেখানে বসলেন।
30. তখন লোকেরা খোঁড়া, অন্ধ, নুলা, বোবা এবং আরও অনেককে সংগে নিয়ে তাঁর কাছে আসল। তারা ঐ সব লোকদের তাঁর পায়ের কাছে রাখল আর তিনি তাদের সুস্থ করলেন।
31. লোকেরা যখন দেখল বোবা কথা বলছে, নুলা সুস্থ হচ্ছে, খোঁড়া চলাফেরা করছে এবং অন্ধ দেখতে পাচ্ছে, তখন তারা আশ্চর্য হল এবং ইস্রায়েলীয়দের ঈশ্বরের গৌরব করতে লাগল।
32. এর পর যীশু তাঁর শিষ্যদের ডেকে বললেন, “এই লোকদের জন্য আমার মমতা হচ্ছে, কারণ আজ তিন দিন হল এরা আমার সংগে সংগে আছে, আর এদের কাছে কোন খাবার নেই। এই অবস্থায় আমি এদের বিদায় দিতে চাই না; হয়তো বা তারা পথে অজ্ঞান হয়ে পড়বে।”
33. শিষ্যেরা তাঁকে বললেন, “এই নির্জন জায়গায় এত লোককে খাওয়াবার মত রুটি আমরা কোথায় পাব?”
34. যীশু তাঁদের বললেন, “তোমাদের কাছে কয়টা রুটি আছে?”শিষ্যেরা বললেন, “সাতটা রুটি আর কয়েকটা ছোট মাছ আছে।”
35-36. লোকদের মাটিতে বসতে আদেশ দিয়ে যীশু সেই সাতটা রুটি আর মাছগুলো নিলেন। পরে তিনি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিয়ে সেগুলো ভাংলেন ও শিষ্যদের হাতে দিলেন, আর শিষ্যেরা তা লোকদের দিলেন।
37. লোকেরা সবাই পেট ভরে খেল, আর যে টুকরাগুলো পড়ে রইল শিষ্যেরা তা তুলে নিয়ে সাতটা টুকরি পূর্ণ করলেন।
38. যারা খেয়েছিল তাদের মধ্যে স্ত্রীলোক ও ছোট ছেলেমেয়ে ছাড়া চার হাজার পুরুষ ছিল।