6. হেরোদের জন্মদিনের উৎসবে হেরোদিয়ার মেয়ে উপস্থিত লোকদের সামনে নেচে হেরোদকে সন্তুষ্ট করল।
7. সেইজন্য হেরোদ শপথ করে বললেন সে যা চাইবে তা-ই তিনি তাকে দেবেন।
8. মেয়েটি তার মায়ের কাছ থেকে পরামর্শ পেয়ে বলল, “থালায় করে বাপ্তিস্মদাতা যোহনের মাথাটা এখানে আমার কাছে এনে দিন।”
9. এতে রাজা হেরোদ দুঃখিত হলেন, কিন্তু যাঁরা তাঁর সংগে খেতে বসেছিলেন তাঁদের সামনে শপথ করেছিলেন বলে তিনি তা দিতে আদেশ করলেন।
10. তিনি লোক পাঠিয়ে জেলখানার মধ্যেই যোহনের মাথা কাটালেন।
11. পরে মাথাটি থালায় করে এনে মেয়েটিকে দেওয়া হলে পর সে তার মায়ের কাছে তা নিয়ে গেল।
12. এর পর যোহনের শিষ্যেরা এসে তাঁর মৃত দেহটা নিয়ে গিয়ে কবর দিলেন এবং সেই খবর যীশুকে গিয়ে দিলেন।
13. যোহনের মৃত্যুর খবর শুনে যীশু একাই সেখান থেকে নৌকায় করে একটা নির্জন জায়গায় চলে গেলেন। লোকেরা সেই কথা শুনে ভিন্ন ভিন্ন গ্রাম থেকে হাঁটা-পথে তাঁর পিছন ধরল।
14. তিনি নৌকা থেকে নেমে লোকদের ভিড় দেখতে পেলেন আর মমতায় পূর্ণ হয়ে তাদের মধ্যে যারা অসুস্থ ছিল তাদের সুস্থ করলেন।
15. দিনের শেষে শিষ্যেরা তাঁর কাছে এসে বললেন, “জায়গাটা নির্জন, বেলাও গেছে। লোকদের বিদায় করে দিন যেন তারা গ্রামে গিয়ে নিজেদের জন্য খাবার কিনতে পারে।”
16. যীশু তাঁদের বললেন, “ওদের যাবার দরকার নেই, তোমরাই ওদের খেতে দাও।”
17. শিষ্যেরা তাঁকে বললেন, “আমাদের এখানে পাঁচখানা রুটি আর দু’টা মাছ ছাড়া আর কিছুই নেই।”
20. খাওয়ার পরে যে টুকরাগুলো পড়ে রইল শিষ্যেরা তা তুলে নিলেন, আর তাতে বারোটা টুকরি পূর্ণ হল।
21. যারা খেয়েছিল তাদের মধ্যে স্ত্রীলোক ও ছোট ছেলেমেয়ে ছাড়া কমবেশী পাঁচ হাজার পুরুষ ছিল।