3. হেরোদ নিজের ভাই ফিলিপের স্ত্রী হেরোদিয়ার দরুন যোহনকে বেঁধে নিয়ে গিয়ে জেলখানায় রেখেছিলেন,
4. কারণ যোহন তাঁকে বলতেন, “হেরোদিয়াকে স্ত্রী হিসাবে রাখা আপনার উচিত নয়।”
5. হেরোদ যোহনকে মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি লোকদের ভয় করতেন কারণ লোকে যোহনকে নবী বলে মানত।
6. হেরোদের জন্মদিনের উৎসবে হেরোদিয়ার মেয়ে উপস্থিত লোকদের সামনে নেচে হেরোদকে সন্তুষ্ট করল।
7. সেইজন্য হেরোদ শপথ করে বললেন সে যা চাইবে তা-ই তিনি তাকে দেবেন।
8. মেয়েটি তার মায়ের কাছ থেকে পরামর্শ পেয়ে বলল, “থালায় করে বাপ্তিস্মদাতা যোহনের মাথাটা এখানে আমার কাছে এনে দিন।”
9. এতে রাজা হেরোদ দুঃখিত হলেন, কিন্তু যাঁরা তাঁর সংগে খেতে বসেছিলেন তাঁদের সামনে শপথ করেছিলেন বলে তিনি তা দিতে আদেশ করলেন।
18-19. তিনি বললেন, “ওগুলো আমার কাছে আন।” পরে তিনি লোকদের ঘাসের উপর বসতে আদেশ করলেন, আর সেই পাঁচখানা রুটি আর দু’টা মাছ নিয়ে স্বর্গের দিকে তাকিয়ে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলেন। এর পরে তিনি রুটি ভেংগে শিষ্যদের হাতে দিলেন আর শিষ্যেরা তা লোকদের দিলেন। তারা প্রত্যেকে পেট ভরে খেল।
20. খাওয়ার পরে যে টুকরাগুলো পড়ে রইল শিষ্যেরা তা তুলে নিলেন, আর তাতে বারোটা টুকরি পূর্ণ হল।
21. যারা খেয়েছিল তাদের মধ্যে স্ত্রীলোক ও ছোট ছেলেমেয়ে ছাড়া কমবেশী পাঁচ হাজার পুরুষ ছিল।
22. এর পরে যীশু শিষ্যদের তাগাদা দিলেন যেন তাঁরা নৌকায় উঠে তাঁর আগে অন্য পারে যান, আর এদিকে তিনি লোকদের বিদায় করলেন।
23. লোকদের বিদায় করে প্রার্থনা করবার জন্য তিনি একা পাহাড়ে উঠে গেলেন। যখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসল তখনও তিনি সেখানে একাই রইলেন।
24. ততক্ষণে শিষ্যদের নৌকাখানা ডাংগা থেকে অনেকটা দূরে গিয়ে পড়েছিল এবং বাতাস উল্টাদিকে থাকাতে ঢেউয়ে ভীষণভাবে দুলছিল।
25. শেষ রাতে যীশু সাগরের উপর দিয়ে হেঁটে শিষ্যদের কাছে আসছিলেন।
26. শিষ্যেরা একজনকে সাগরের উপর হাঁটতে দেখে ভীষণ ভয় পেয়ে বললেন, “ভূত, ভূত,” আর তার পরেই চিৎকার করে উঠলেন।
27. যীশু তখনই তাঁদের বললেন, “এ তো আমি; ভয় কোরো না, সাহস কর।”