45. “আবার, স্বর্গ-রাজ্য এমন একজন সওদাগরের মত যে ভাল মুক্তা খুঁজছিল।
46. একটা দামী মুক্তার খোঁজ পেয়ে সে গিয়ে তার যা কিছু ছিল সব বিক্রি করে সেই মুক্তাটা কিনল।
47. “আবার, স্বর্গ-রাজ্য এমন একটা বড় জালের মত যা সাগরে ফেলা হল আর তাতে সব রকম মাছ ধরা পড়ল।
48. জাল পূর্ণ হলে পর লোকেরা সেটা পারে টেনে তুলল। পরে তারা বসে ভাল মাছগুলো বেছে ঝুড়িতে রাখল এবং খারাপগুলো ফেলে দিল।
49. যুগের শেষের সময়ে এই রকমই হবে। স্বর্গদূতেরা এসে ঈশ্বরভক্ত লোকদের মধ্য থেকে দুষ্টদের আলাদা করবেন এবং জ্বলন্ত আগুনের মধ্যে তাদের ফেলে দেবেন।
50. সেখানে লোকে কান্নাকাটি করবে ও যন্ত্রণায় দাঁতে দাত ঘষতে থাকবে।”
51. এর পর যীশু তাঁর শিষ্যদের জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরা কি এই সব বুঝতে পেরেছ?”
52. তখন যীশু তাদের বললেন, “স্বর্গ-রাজ্যের বিষয়ে যে সব ধর্ম-শিক্ষক শিক্ষা পেয়েছেন তারা সবাই এমন একজন গৃহস্থের মত যিনি তাঁর ভাণ্ডার থেকে নতুন ও পুরানো জিনিস বের করেন।”
53. শিক্ষা দেবার জন্য এই সব গল্প বলা শেষ করে যীশু সেখান থেকে চলে গেলেন।
54. তারপর নিজের গ্রামে গিয়ে তিনি সমাজ-ঘরে লোকদের শিক্ষা দিতে লাগলেন। তাঁর কথা শুনে লোকে আশ্চর্য হয়ে বলল, “এই জ্ঞান ও এই সব আশ্চর্য কাজ করবার ক্ষমতা এ কোথা থেকে পেল?
55. এ কি সেই ছুতার মিস্ত্রীর ছেলে নয়? তার মায়ের নাম কি মরিয়ম নয়? আর তার ভাইয়েরা কি যাকোব, যোষেফ, শিমোন ও যিহূদা নয়?
56. তার সব বোনেরা কি আমাদের মধ্যে নেই? তাহলে কোথা থেকে সে এই সব পেল?”
57. এইভাবে যীশুকে নিয়ে লোকদের মনে বাধা আসতে লাগল।তখন যীশু তাদের বললেন, “নিজের গ্রাম ও নিজের বাড়ী ছাড়া আর সব জায়গাতেই নবীরা সম্মান পান।”
58. লোকদের অবিশ্বাসের জন্য তিনি সেখানে বেশী আশ্চর্য কাজ করলেন না।