3. ঈশ্বর তোমাদের হাতে মিদিয়নীয়দের নেতা ওরেব ও সেবকে তুলে দিয়েছেন। তোমাদের তুলনায় আমি আর কি বেশী করতে পেরেছি?” এতে গিদিয়োনের বিরুদ্ধে তাদের রাগ পড়ে গেল।
4. গিদিয়োন ও তাঁর তিনশো লোক মিদিয়নীয়দের তাড়া করতে করতে যর্দনের কাছে এসে নদীটা পার হয়ে গেল। তখন তারা খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল,
5. তাই গিদিয়োন সুক্কোতের লোকদের বললেন, “আমার সৈন্যদের কিছু রুটি খেতে দাও; তারা ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। আমি এখনও মিদিয়নীয়দের রাজা সেবহ ও সল্মুন্নের পিছনে তাড়া করছি।”
6. কিন্তু সুক্কোতের নেতারা বলল, “কেন আমরা তোমার সৈন্যদের রুটি খেতে দেব? সেবহ ও সল্মুন্নের কেটে ফেলা হাত কি তোমার হাতের মুঠোয় এসে গেছে?”
7. উত্তরে গিদিয়োন বললেন, “যখন সদাপ্রভু সেবহ ও সল্মুন্নকে আমার হাতে তুলে দেবেন তখন তোমাদের এই কথার জন্য আমি মরু-এলাকার কাঁটা ও কাঁটাগাছের আঘাতে তোমাদের গায়ের মাংস ছিঁড়ে ফেলব।”
8. গিদিয়োন সেখান থেকে পনূয়েলে উঠে গেলেন এবং সেখানকার লোকদের কাছেও রুটি চাইলেন। কিন্তু সুক্কোতের লোকেরা যা বলেছিল তারাও উত্তরে তা-ই বলল।
9. তখন গিদিয়োন পনূয়েলের লোকদের বললেন, “আমি যখন জয় করে ফিরে আসব তখন এই দুর্গটা চুরমার করে দেব।”
10. সেবহ ও সল্মুন্ন প্রায় পনেরো হাজার সৈন্যের একটা দল নিয়ে কর্কোরে ছিলেন। পূর্ব দেশের সৈন্যদের মধ্যে কেবল এরাই তখন বাকী ছিল এবং এক লক্ষ বিশ হাজার সৈন্য মারা পড়েছিল।
11. নোবহ ও যগ্বিহের পূর্ব দিকে তাম্বুবাসী লোকদের পথ ধরে গিদিয়োন হঠাৎ গিয়ে সেই সৈন্যদলের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লেন। তখন তারা নিশ্চিন্ত মনে ছিল।
12. সেবহ ও সল্মুন্ন নামে মিদিয়নীয়দের সেই দু’জন রাজা পালিয়ে গেলেন। কিন্তু গিদিয়োন তাড়া করে গিয়ে তাঁদের ধরে ফেললেন, আর তাঁদের গোটা সৈন্যদল গিদিয়োনের দরুন ভীষণ ভয় পেল।
13. এর পর যোয়াশের ছেলে গিদিয়োন হেরস নামে উঠে যাবার পথ দিয়ে যুদ্ধ থেকে ফিরলেন।
14. তিনি পথে সুক্কোতের একজন যুবককে ধরে প্রশ্ন করতে লাগলেন। যুবকটি সুক্কোতের সাতাত্তরজন প্রধান লোক ও বৃদ্ধ নেতার নাম লিখে দিল।