27. সেইজন্য গিদিয়োন তাঁর চাকরদের মধ্য থেকে দশজনকে সংগে নিয়ে সদাপ্রভুর কথামত কাজ করলেন। কিন্তু নিজের পরিবার ও গ্রামের লোকদের ভয়ে তিনি কাজটা দিনে না করে রাতের বেলায় করলেন।
28. সকালবেলা গ্রামের লোকেরা ঘুম থেকে উঠে দেখল বাল দেবতার বেদীটা ভেংগে ফেলা হয়েছে আর তার পাশের আশেরা-খুঁটিটাও কেটে ফেলা হয়েছে এবং একটা নতুন করে তৈরী করা বেদীর উপরে দ্বিতীয় ষাঁড়টা উৎসর্গ করা হয়েছে।
29. তখন তারা একে অন্যকে জিজ্ঞাসা করল, “এই কাজ কে করেছে?” তারা ভাল করে খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পারল যে, যোয়াশের ছেলে গিদিয়োন এই সব করেছে।
30. তখন তারা যোয়াশের কাছে গিয়ে বলল, “তোমার ছেলেকে বের করে নিয়ে এস। তাকে মরতে হবে, কারণ সে বাল দেবতার বেদী ভেংগে ফেলেছে এবং তার পাশের আশেরা-খুঁটিটা কেটে ফেলেছে।”
31. কিন্তু যে সব লোক তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল যোয়াশ তাদের বললেন, “তোমরা কি বাল দেবতার পক্ষে ওকালতি করতে এসেছ? তাকে রক্ষা করবার চেষ্টা করছ? যে তার পক্ষ নেবে তাকে কাল সকাল হবার আগেই মেরে ফেলা হবে। বাল যদি সত্যিই কোন দেবতা হয়ে থাকে তবে সে নিজের পক্ষে ওকালতি করুক, কারণ তারই বেদী ভেংগে ফেলা হয়েছে।”
32. সেই দিন তিনি গিদিয়োনের নাম দিলেন যিরুব্বাল (যার মানে “বাল দেবতা ওকালতি করুক”)। গিদিয়োন বাল দেবতার বেদী ভেংগে ফেলেছেন বলে যোয়াশ বললেন, “গিদিয়োনের বিরুদ্ধে বাল দেবতাই তার নিজের পক্ষে ওকালতি করুক।”
33. পরে মিদিয়নীয়, অমালেকীয় এবং পূর্ব দেশের সৈন্য-সামন্ত সব এক হয়ে যর্দন নদী পেরিয়ে যিষ্রিয়েল-উপত্যকায় গিয়ে ছাউনি ফেলল।
34. তখন সদাপ্রভুর আত্মা গিদিয়োনকে শক্তিশালী করলেন। গিদিয়োন শিংগা বাজালেন আর অবীয়েষ্রীয়েরা তাঁর পিছনে জড়ো হল।
35. তিনি মনঃশি-গোষ্ঠীর এলাকার লোকদের কাছে খবর পাঠালেন আর তারাও তাঁর পিছনে জড়ো হল। আশের, সবূলূন ও নপ্তালি-গোষ্ঠীর কাছেও তিনি খবর পাঠালেন আর তাতে তারা তাদের সংগে যোগ দেবার জন্য এগিয়ে আসল।