2-3. এই কথা বিন্যামীন-গোষ্ঠীর লোকদের কানে গেল। ঈশ্বরের যে লোকেরা জড়ো হয়েছিল সেই দলের মধ্যে ছিল ইস্রায়েলীয় গোষ্ঠী-নেতারা সবাই এবং চার লক্ষ পদাতিক সৈন্য। তারা জানতে চাইল যে, সেই জঘন্য ব্যাপারটা কি করে ঘটেছিল।
18. তারা বৈথেলে গিয়ে ঈশ্বরের কাছ থেকে জানতে চাইল বিন্যামীনীয়দের সংগে যুদ্ধ করবার জন্য তাদের মধ্যে কে আগে যাবে। উত্তরে সদাপ্রভু জানালেন যে, যিহূদা-গোষ্ঠী আগে যাবে।
19. পরের দিন সকালে উঠে ইস্রায়েলীয়েরা গিবিয়ার কাছে ছাউনি ফেলল।
20. তারপর তারা বিন্যামীনীয়দের সংগে যুদ্ধ করবার জন্য বের হয়ে সেখানে তাদের বিরুদ্ধে সৈন্য সাজাল।
21. বিন্যামীনীয়েরা গিবিয়া থেকে বের হয়ে আসল এবং সেই দিন বাইশ হাজার ইস্রায়েলীয়কে মেরে ফেলল।
22-23. তখন ইস্রায়েলীয়েরা গিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত সদাপ্রভুর কাছে কান্নাকাটি করে বলল, “আমরা কি আমাদের ভাই বিন্যামীনীয়দের বিরুদ্ধে আবার যুদ্ধ করতে যাব?”উত্তরে সদাপ্রভু বললেন, “যাও।” এতে ইস্রায়েলীয় সৈন্যেরা সাহসে বুক বেঁধে প্রথম দিন যে জায়গায় যুদ্ধ করেছিল আবার সেখানে যুদ্ধ করবার জন্য প্রস্তুত হল।
24. দ্বিতীয় দিনে তারা বিন্যামীন-গোষ্ঠীর লোকদের বিরুদ্ধে এগিয়ে গেল।
25. এইবার বিন্যামীনীয়েরা তাদের বাধা দেবার জন্য গিবিয়া থেকে বের হয়ে এসে আরও আঠারো হাজার ইস্রায়েলীয়কে মেরে ফেলল। তারা সবাই ছিল তলোয়ারধারী সৈন্য।
26. তখন ইস্রায়েলীয়দের সমস্ত লোক বৈথেলে গিয়ে সদাপ্রভুর সামনে বসে কাঁদতে লাগল। তারা সেই দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত উপবাস করল এবং সদাপ্রভুর উদ্দেশে পোড়ানো ও যোগাযোগ-উৎসর্গের অনুষ্ঠান করল।
27-28. সেই সময়ে ঈশ্বরের ব্যবস্থা-সিন্দুক বৈথেলেই ছিল, আর হারোণের নাতি, অর্থাৎ ইলিয়াসরের ছেলে পীনহস তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে সেবার কাজ করতেন। সেইজন্য ইস্রায়েলীয়েরা সেখানে সদাপ্রভুর ইচ্ছা জানবার জন্য জিজ্ঞাসা করল, “আমরা আমাদের ভাই বিন্যামীন-গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আবার যুদ্ধ করতে যাব কি যাব না?”সদাপ্রভু উত্তর দিলেন, “যাও, কারণ কালকে আমি তোমাদের হাতে তাদের তুলে দিতে যাচ্ছি।”
29. তখন ইস্রায়েলীয়েরা গিবিয়ার চারপাশে সৈন্যদের লুকিয়ে রাখল।