1. ইস্রায়েলীয়দের মধ্যে যখন কোন রাজা ছিল না তখন ইফ্রয়িমের পাহাড়ী এলাকার ভিতরে একজন লেবীয় বাস করত। সে যিহূদা এলাকার বৈৎলেহম গ্রামের একজন মেয়েকে উপস্ত্রী হিসাবে গ্রহণ করেছিল।
2-3. সেই উপস্ত্রী ব্যভিচার করল এবং তাকে ছেড়ে যিহূদার বৈৎলেহমে তার বাবার বাড়ীতে ফিরে গেল। সে সেখানে চার মাস কাটাবার পর তার স্বামী তাকে নরম কথায় বুঝিয়ে-সুঝিয়ে ফিরিয়ে আনতে গেল। তার সংগে ছিল তার চাকর ও এক জোড়া গাধা। স্ত্রীলোকটি তাকে সংগে করে তার বাবার বাড়ীর ভিতরে নিয়ে গেল। তার বাবা তাকে দেখে খুশী হল।
10-11. কিন্তু রাতটা সেখানে কাটাবার ইচ্ছা তার ছিল না। সেইজন্য লোকটি তার গদি লাগানো গাধা দু’টা এবং তার উপস্ত্রীকে নিয়ে সেই জায়গা ছেড়ে রওনা হয়ে গেল।তারা যখন যিবূষের, অর্থাৎ যিরূশালেমের কাছাকাছি উপস্থিত হল তখন বেলা প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। তখন চাকরটি তার মনিবকে বলল, “চলুন, আমরা যিবূষীয়দের এই শহরে থেমে রাতটা কাটিয়ে যাই।”
12. উত্তরে তার মনিব তাকে বলল, “না, যারা ইস্রায়েলীয় নয় তাদের শহরে আমরা যাব না। আমরা বরং এগিয়ে গিয়ে গিবিয়াতে যাব।”
13. সে আরও বলল, “চল, আমরা গিবিয়াতে কিম্বা রামাতে পৌঁছাবার চেষ্টা করি এবং রাতটা ঐ শহর দু’টার একটাতে কাটাই।”
14. কাজেই তারা চলতেই থাকল। বিন্যামীন এলাকার গিবিয়ার কাছে পৌঁছাতেই সূর্য ডুবে গেল।
15. রাতটা কাটাবার জন্য তখন তারা পথ ছেড়ে গিবিয়াতে গেল আর শহর-চকে গিয়ে বসল, কিন্তু রাত কাটাবার জন্য কেউ নিজের বাড়ীতে তাদের ডেকে নিল না।
16. সেই দিন সন্ধ্যাবেলা ইফ্রয়িমের পাহাড়ী এলাকার একজন বুড়ো লোক তার ক্ষেতের কাজের পর গিবিয়া শহরে ঢুকল। সে গিবিয়াতে বাস করত, কিন্তু সেখানকার লোকেরা ছিল বিন্যামীন-গোষ্ঠীর লোক।
17. শহর-চকে সেই পথিককে দেখে বুড়ো লোকটি জিজ্ঞাসা করল, “তুমি কোথায় যাবে আর কোথা থেকেই বা এসেছ?”
18. উত্তরে সে বলল, “আমরা যিহূদার বৈৎলেহম থেকে এসেছি আর ইফ্রয়িমের পাহাড়ী এলাকার ভিতরে যাব। আমার বাড়ী সেখানেই। আমি যিহূদার বৈৎলেহমে গিয়েছিলাম আর এখন আমি সদাপ্রভুর ঘরে যাচ্ছি, কিন্তু কেউ আমাকে তার বাড়ীতে ডেকে নিচ্ছে না।
19. আমাদের গাধার জন্য খড় ও ভূষি আমাদের কাছে আছে এবং আমার জন্য ও আপনার এই দাসীর জন্য এবং আমাদের সংগেকার এই যুবকটির জন্য রুটি এবং আংগুর-রসও আছে। আপনার দাসদের আর কিছুরই দরকার নেই।”