20. তারপর দলীলা তাঁকে বলল, “শিম্শোন, পলেষ্টীয়েরা তোমাকে ধরতে এসেছে।” শিম্শোন ঘুম থেকে জেগে উঠে ভাবলেন যে, তিনি আগের মতই বাইরে যাবেন এবং ঝাড়া দিয়ে নিজেকে মুক্ত করে নেবেন। কিন্তু তিনি জানতেন না যে, সদাপ্রভু তাঁকে ছেড়ে চলে গেছেন।
21. তখন পলেষ্টীয়েরা তাঁকে ধরে তাঁর চোখ দু’টা তুলে ফেলল এবং তাঁকে গাজাতে নিয়ে গেল। তারা তাঁকে ব্রোঞ্জের শিকল দিয়ে বাঁধল এবং জেলখানার মধ্যে তাঁকে দিয়ে যাঁতা ঘুরাবার কাজ করাতে লাগল।
22. কিন্তু তাঁর মাথার চুল কামিয়ে ফেলবার পর আবার তা গজাতে লাগল।
23. এর পর পলেষ্টীয়দের শাসনকর্তারা তাঁদের দেবতা দাগোনের কাছে একটা মস্ত বড় উৎসর্গের অনুষ্ঠান করে আনন্দ করবার জন্য এক জায়গায় জড়ো হলেন। তাঁরা বললেন, “আমাদের দেবতা আমাদের শত্রু শিম্শোনকে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন।”
24. লোকেরা শিম্শোনকে দেখে এই কথা বলে তাদের দেবতার প্রশংসা করতে লাগল, “আমাদের দেবতা আমাদের হাতে আমাদের শত্রুকে তুলে দিয়েছেন; সে আমাদের জমি নষ্ট করেছে আর আমাদের অনেক লোককে মেরে ফেলেছে।”
25. তারপর তারা আনন্দে মেতে উঠে এই বলে চিৎকার করল, “শিম্শোনকে বের করে আনা হোক; আমরা তামাশা দেখব।” কাজেই তারা জেলখানা থেকে শিম্শোনকে বের করে আনল আর শিম্শোন তাদের তামাশা দেখাতে লাগলেন।তারা শিম্শোনকে থামগুলোর মাঝখানে দাঁড় করাল।
26. যে ছেলেটি তাঁর হাত ধরে ছিল শিম্শোন তাকে বললেন, “যে থামগুলোর উপর মন্দিরটা দাঁড়িয়ে আছে সেগুলো আমাকে ছুঁতে দাও যাতে আমি সেখানে হেলান দিতে পারি।”