5. পরে শিম্শোন তাঁর মা-বাবার সংগে তিম্নায় গেলেন। তিম্নার আংগুর ক্ষেতগুলোর কাছে যেতেই হঠাৎ একটা যুব সিংহ গর্জন করতে করতে শিম্শোনের দিকে এগিয়ে আসল।
6. তখন সদাপ্রভুর আত্মা তাঁর উপর পূর্ণ শক্তিতে আসলেন, যার ফলে তিনি সেই সিংহটাকে খালি হাতেই ছাগলের বাচ্চার মত করে ছিঁড়ে ফেললেন। কিন্তু তিনি কি করেছেন তা তাঁর মা-বাবাকে জানালেন না।
7. পরে তিনি সেই মেয়েটির কাছে গিয়ে তার সংগে কথা বললেন এবং মেয়েটিকে তাঁর ভাল লাগল।
8. এর কিছুদিন পরে তিনি ঐ মেয়েটিকে বিয়ে করবার জন্য তিম্নায় গেলেন। যাওয়ার পথে তিনি সেই সিংহের মৃতদেহটা দেখবার জন্য একটু ঘুরে গেলেন। তিনি সিংহের দেহের মধ্যে এক ঝাঁক মৌমাছি আর কিছু মধু দেখতে পেলেন।
9. তিনি দু’হাতে সেই মধু তুলে নিয়ে খেতে খেতে চললেন। তারপর তিনি মা-বাবার কাছে গিয়ে তাঁদেরও সেই মধু দিলেন এবং তাঁরাও তা খেলেন। কিন্তু সেই মধু যে তিনি সিংহের মৃতদেহের মধ্য থেকে নিয়েছিলেন তা তাঁদের বললেন না।
10. পরে শিম্শোনের বাবা মেয়েটিকে দেখতে গেলেন। তখন শিম্শোন সেখানে একটা ভোজের ব্যবস্থা করলেন যা বরেরা সাধারণতঃ করত।
11. শিম্শোন সেখানে পৌঁছালে পর পলেষ্টীয়েরা তাঁকে ত্রিশজন সংগী দিল।
12. শিম্শোন সেই সংগীদের বললেন, “আমি তোমাদের একটা ধাঁধা বলি। তোমরা ভোজের এই সাত দিনের মধ্যে যদি এর উত্তর দিতে পার তবে আমি তোমাদের ত্রিশটা মসীনার চাদর ও ত্রিশ সেট পোশাক দেব।
13. কিন্তু তোমরা যদি তা না পার তবে তোমরা আমাকে ত্রিশটা মসীনার চাদর আর ত্রিশ সেট পোশাক দেবে।”তারা বলল, “আপনার ধাঁধাটা বলুন, আমরা তা শুনি।”
14. শিম্শোন বললেন,“খাদক থেকে আসল খাদ্য,বলবান থেকে আসল মিষ্টি।”তিন দিন পর্যন্ত তাঁর এই ধাঁধার উত্তর তারা দিতে পারল না।
15. সপ্তম দিনে তারা গিয়ে শিম্শোনের স্ত্রীকে বলল, “তোমার স্বামীকে ফুসলিয়ে বল যেন তিনি এই ধাঁধাটার উত্তর আমাদের বলে দেন। তা না হলে আমরা তোমাকে ও তোমার বাবার পরিবারের লোকদের পুড়িয়ে মারব। আমাদের গরীব করে দেওয়ার জন্যই তুমি আমাদের এখানে নিমন্ত্রণ করেছ, তাই না?”