7. যে লোকেরা শৌলের সংগে যাচ্ছিল তারা অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। তারা কথা শুনেছিল কিন্তু কাউকে দেখতে পায় নি।
8. পরে শৌল মাটি থেকে উঠলেন, কিন্তু চোখ খুললে পর কিছুই দেখতে পেলেন না। তখন তাঁর সংগীরা হাত ধরে তাঁকে দামেস্কে নিয়ে গেল।
9. তিন দিন পর্যন্ত শৌল চোখে দেখতে পেলেন না এবং কিছুই খেলেন না।
10. দামেস্ক শহরে অননিয় নামে একজন শিষ্য ছিলেন। প্রভু তাঁকে দর্শন দিয়ে বললেন, “অননিয়।”উত্তরে তিনি বললেন, “প্রভু, এই যে আমি।”
13. অননিয় বললেন, “প্রভু, আমি অনেকের মুখে এই লোকের বিষয় শুনেছি যে, যিরূশালেমে তোমার লোকদের উপর সে কত অত্যাচার করেছে।
14. এছাড়া যারা তোমার নামে প্রার্থনা করে তাদের ধরবার জন্য প্রধান পুরোহিতদের কাছ থেকে অধিকার নিয়ে সে এখানে এসেছে।”
15. কিন্তু প্রভু অননিয়কে বললেন, “তুমি যাও, কারণ অযিহূদীদের ও তাদের রাজাদের এবং ইস্রায়েলীয়দের কাছে আমার সম্বন্ধে প্রচার করবার জন্য আমি এই লোককেই বেছে নিয়েছি।
16. আমার জন্য কত কষ্ট যে তাকে পেতে হবে তা আমি তাকে দেখাব।”
17. তখন অননিয় গিয়ে সেই বাড়ীর মধ্যে ঢুকলেন আর শৌলের গায়ে হাত দিয়ে বললেন, “ভাই শৌল, এখানে আসবার পথে যিনি তোমাকে দেখা দিয়েছিলেন তিনি প্রভু যীশু। তিনিই আমাকে পাঠিয়েছেন যেন তুমি তোমার দেখবার শক্তি ফিরে পাও এবং পবিত্র আত্মায় পুর্ণ হও।”
20. তার পরে সময় নষ্ট না করে তিনি ভিন্ন ভিন্ন সমাজ-ঘরে এই কথা প্রচার করতে লাগলেন যে, যীশুই ঈশ্বরের পুত্র।
21. যারা তাঁর কথা শুনত তারা আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞাসা করত, “যিরূশালেমে যারা যীশুর নামে প্রার্থনা করে তাদের যে অত্যাচার করত এ কি সেই লোক নয়? এখানেও যারা তা করে তাঁদের বেঁধে প্রধান পুরোহিতদের কাছে নিয়ে যাবার জন্যই কি সে এখানে আসে নি?”
22. শৌল কিন্তু আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে লাগলেন এবং যীশুই যে মশীহ তা প্রমাণ করলেন। এতে দামেস্কের যিহূদীরা বুদ্ধিহারা হয়ে গেল।
23. এর অনেক দিন পরে যিহূদীরা তাঁকে মেরে ফেলবার ষড়যন্ত্র করতে লাগল,
24. কিন্তু শৌল তাদের ষড়যন্ত্রের কথা জানতে পারলেন। তাঁকে মেরে ফেলবার জন্য যিহূদীরা শহরের ফটকগুলো দিনরাত পাহারা দিতে লাগল।
25. কিন্তু একদিন রাতের বেলা শৌলের শিষ্যেরা একটা ঝুড়িতে করে দেয়ালের একটা জানলার মধ্য দিয়ে তাঁকে নীচে নামিয়ে দিল।