5. নিজের অধিকারের জন্য ঈশ্বর অব্রাহামকে সেখানে কিছুই দিলেন না, একটা পা রাখবার মত জমি পর্যন্তও না। কিন্তু ঈশ্বর তাঁর কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, তাঁকে ও তাঁর পরে তাঁর বংশধরদের অধিকার হিসাবে তিনি সেই দেশ দেবেন। অবশ্য সেই সময় অব্রাহামের কোন ছেলেমেয়ে ছিল না।
6. ঈশ্বর তাঁকে বললেন, ‘তোমার বংশধরেরা বিদেশে বাস করবে। লোকে তাদের দাস করে রাখবে এবং চারশো বছর ধরে তাদের উপর অত্যাচার করবে।’
7. ঈশ্বর আরও বললেন, ‘যে জাতি তাদের দাস করবে সেই জাতিকে আমি শাস্তি দেব। পরে তারা সেই দেশ থেকে বের হয়ে এসে এই জায়গায় আমার উপাসনা করবে।’
8. তারপর ঈশ্বর তাঁর ব্যবস্থার চিহ্ন হিসাবে সুন্নত করাবার নিয়ম দিলেন। এর পরে অব্রাহামের ছেলে ইস্হাকের জন্ম হল এবং জন্মের আট দিনের দিন তিনি তাঁর সুন্নত করালেন। পরে ইস্হাক যাকোবের সুন্নত করালেন এবং যাকোব সেই বারোজন গোষ্ঠী-পিতাদের সুন্নত করালেন।
11. “তার পরে সারা মিসর ও কনান দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিল। তাতে যখন খুব কষ্ট উপস্থিত হল তখন আমাদের পূর্বপুরুষেরা খাবার পেলেন না।
12. কিন্তু মিসরে খাবার আছে শুনে যাকোব আমাদের পূর্বপুরুষদের প্রথমে একবার সেখানে পাঠিয়ে দিলেন।
13. দ্বিতীয় বারে যোষেফ ভাইদের জানালেন তিনি কে। সেই সময় ফরৌণ যোষেফের পরিবারের বিষয় জানতে পারলেন।
14. এর পরে যোষেফ তাঁর বাবা যাকোব ও পরিবারের অন্য সবাইকে ডেকে পাঠালেন। তাঁরা সংখ্যায় মোট পঁচাত্তরজন ছিলেন।
15. যাকোব মিসরে গেলেন, আর সেখানে তিনি ও আমাদের পূর্বপুরুষেরা মারা গেলেন।
16. তাঁদের দেহ শিখিমে এনে কবর দেওয়া হল। এই কবরস্থান অব্রাহাম শিখিম শহরের হমোরের ছেলেদের কাছ থেকে রূপা দিয়ে কিনেছিলেন।
17. “অব্রাহামের কাছে ঈশ্বর যে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন তা পূর্ণ হবার সময় যখন কাছে আসল তখন দেখা গেল মিসরে আমাদের লোকসংখ্যা খুব বেড়ে গেছে।
18. এর পরে মিসরে আর একজন রাজা হলেন। তিনি যোষেফের বিষয় কিছুই জানতেন না।
19. সেই রাজা আমাদের লোকদের ঠকাতেন এবং আমাদের পূর্বপুরুষদের উপর খুব অত্যাচার করতেন। এমন কি, তাঁদের যে সব শিশু জন্মগ্রহণ করত তারা যাতে মারা যায় সেইজন্য সেই শিশুদের বাইরে ফেলে রাখতে তাঁদের বাধ্য করতেন।
20. “সেই সময়ে মোশির জন্ম হল। তিনি দেখতে খুবই সুন্দর ছিলেন। তিন মাস পর্যন্ত তিনি তাঁর বাবার বাড়ীতেই লালিত-পালিত হলেন।