45. আমাদের পূর্বপুরুষেরা সেই তাম্বু পেয়ে তাঁদের নেতা যিহোশূয়ের অধীনে তা নিজেদের সংগে আমাদের এই দেশে এনেছিলেন। ঈশ্বর সেই সময় তাঁদের সামনে থেকে অন্য জাতিদের তাড়িয়ে দিয়েছিলেন এবং তাঁরা এই দেশ অধিকার করেছিলেন। দায়ূদের সময় পর্যন্ত সেই তাম্বু এই দেশেই ছিল।
46. দায়ূদ ঈশ্বরের দয়া পেয়ে যাকোবের ঈশ্বরের থাকবার ঘর তৈরী করবার জন্য অনুমতি চেয়েছিলেন;
47. কিন্তু শলোমনই তাঁর জন্য ঘর তৈরী করেছিলেন।
48. “কিন্তু মহান ঈশ্বর মানুষের তৈরী ঘর-বাড়ীতে থাকেন না। নবী বলেছেন যে,
49. প্রভু বলেন, ‘স্বর্গ আমার সিংহাসন, পৃথিবী আমার পা রাখবার জায়গা; আমার জন্য কি রকম ঘর তুমি তৈরী করবে? আমার বিশ্রামের স্থান কোথায় হবে?
50. এই সব জিনিস কি আমি নিজের হাতে তৈরী করি নি?’
51. “হে একগুঁয়ে জাতি! অযিহূদীদের মতই আপনাদের কান ও অন্তর, আর আপনারাও ঠিক আপনাদের পূর্বপুরুষদের মত। আপনারা সব সময় পবিত্র আত্মাকে বাধা দিয়ে থাকেন।
52. এমন কোন নবী আছেন কি, যাঁকে আপনাদের পূর্বপুরুষেরা অত্যাচার করেন নি? এমন কি, যাঁরা সেই ন্যায়বান লোকের, অর্থাৎ খ্রীষ্টের আসবার কথা আগেই বলেছেন তাঁদেরও তাঁরা মেরে ফেলেছেন। আর এখন আপনারা যীশুকেই শত্রুদের হাতে ধরিয়ে দিয়ে তাঁকে খুন করিয়েছেন।
53. স্বর্গদূতদের মধ্য দিয়ে আপনাদের কাছেই তো আইন-কানুন দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু আপনারা তা পালন করেন নি।”
54. এই সব কথা শুনে সেই নেতারা রেগে আগুন হয়ে গেলেন এবং স্তিফানের বিরুদ্ধে দাঁতে দাঁত ঘষতে লাগলেন।
55. কিন্তু স্তিফান পবিত্র আত্মাতে পূর্ণ হয়ে স্বর্গের দিকে তাকিয়ে ঈশ্বরের মহিমা দেখতে পেলেন। তিনি যীশুকে ঈশ্বরের ডান দিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বললেন,
56. “দেখুন, আমি দেখছি স্বর্গ খোলা আছে এবং ঈশ্বরের ডান দিকে মনুষ্যপুত্র দাঁড়িয়ে রয়েছেন।”
57. এতে তাঁরা কানে আংগুল দিলেন এবং খুব জোরে চিৎকার করে একসংগে স্তিফানের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লেন।
58. পরে তাঁরা তাঁকে পাথর মারবার জন্য টেনে শহরের বাইরে নিয়ে গেলেন, আর সাক্ষীরা তাদের উপরের কাপড় খুলে শৌল নামে একজন যুবকের পায়ের কাছে রাখল।
59. যখন সাক্ষীরা স্তিফানকে পাথর মারছিল তখন তিনি প্রার্থনা করে বললেন, “প্রভু যীশু, আমার আত্মাকে গ্রহণ কর।”