28. গতকাল যেভাবে সেই মিসরীয়কে মেরে ফেলেছ, আমাকেও কি সেইভাবে মেরে ফেলতে চাও?’
29. এই কথা শুনে মোশি পালিয়ে গিয়ে মিদিয়ন দেশে বাস করতে লাগলেন। সেখানেই তাঁর দু’টি ছেলের জন্ম হল।
30. “তারপর চল্লিশ বছর পার হয়ে গেল। সিনাই পাহাড়ের কাছে যে মরু-এলাকা আছে সেখানে একটা জ্বলন্ত ঝোপের আগুনের মধ্যে একজন স্বর্গদূত মোশিকে দেখা দিলেন।
31. এ দেখে মোশি আশ্চর্য হয়ে গেলেন। ভাল করে দেখবার জন্য কাছে গেলে পর তিনি প্রভুর এই কথা শুনতে পেলেন,
32. ‘আমি তোমার পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর-অব্রাহাম, ইস্হাক ও যাকোবের ঈশ্বর।’ তখন মোশি ভয়ে কাঁপতে লাগলেন; তাকিয়ে দেখবার সাহস পর্যন্ত তাঁর হল না।
33. “তখন প্রভু তাঁকে বললেন, ‘তোমার পায়ের জুতা খুলে ফেল, কারণ যে জায়গায় তুমি দাঁড়িয়ে আছ তা পবিত্র।
34. মিসর দেশে আমার লোকদের উপরে যে অত্যাচার হচ্ছে তা আমি দেখেছি। আমি তাদের কাতর স্বর শুনেছি এবং তাদের উদ্ধার করবার জন্য নেমে এসেছি। এখন আমি তোমাকে মিসর দেশে ফিরে পাঠাব।’
35. “ইনি সেই একই মোশি যাঁকে ইস্রায়েলীয়েরা এই বলে ফিরিয়ে দিয়েছিল, ‘কে তোমাকে শাসনকর্তা ও বিচারকর্তা করেছে?’ যে স্বর্গদূত সেই ঝোপের মধ্যে মোশিকে দেখা দিয়েছিলেন সেই স্বর্গদূতের দ্বারা ঈশ্বর নিজে এই মোশিকেই ইস্রায়েলীয়দের শাসনকর্তা ও উদ্ধারকর্তা হিসাবে মিসরে পাঠিয়েছিলেন।
36. এই মোশিই মিসর দেশ থেকে ইস্রায়েলীয়দের বের করে এনেছিলেন এবং মিসর দেশে, লোহিত সাগরে ও চল্লিশ বছর ধরে মরু-এলাকায় অনেক আশ্চর্য কাজ ও চিহ্ন-কাজ করেছিলেন।
37. ইনিই সেই মোশি যিনি ইস্রায়েলীয়দের বলেছিলেন, ‘তোমাদের ঈশ্বর তোমাদের ইস্রায়েলীয় ভাইদের মধ্য থেকেই তোমাদের জন্য আমার মত একজন নবী দাঁড় করাবেন।’
38. এই মোশিই মরু-এলাকায় ইস্রায়েলীয়দের সেই দলের মধ্যে আমাদের পূর্বপুরুষদের সংগে ছিলেন। যে স্বর্গদূত সিনাই পাহাড়ে কথা বলেছিলেন এই মোশিই সেই স্বর্গদূতের সংগে সেখানে ছিলেন। আমাদের দেবার জন্য জীবন্ত বাণী এই মোশিই সেখানে পেয়েছিলেন।
39-40. “কিন্তু আমাদের পূর্বপুরুষেরা মোশিকে মানতে চাইলেন না। তার বদলে তাঁরা মোশিকে অগ্রাহ্য করে মিসর দেশের দিকে মন ফিরিয়ে হারোণকে বললেন, ‘আমাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবার জন্য দেব- দেবতা তৈরী করুন, কারণ যে মোশি মিসর দেশ থেকে আমাদের বের করে এনেছে তার কি হয়েছে আমরা জানি না।’
41. এই সময়েই তাঁরা বাছুরের মত করে একটা প্রতিমা তৈরী করেছিলেন। তাঁরা সেই প্রতিমার কাছে পশু উৎসর্গ করেছিলেন এবং নিজেদের হাতে যা তৈরী করেছিলেন তা নিয়ে তাঁরা একটা আনন্দ-উৎসব করেছিলেন।