31. ঈশ্বর তাঁকেই রাজা ও উদ্ধারকর্তা হিসাবে নিজের ডান পাশে বসবার গৌরব দান করেছেন, যাতে তিনি পাপ থেকে ইস্রায়েলীয়দের মন ফিরাবার সুযোগ দিয়ে পাপের ক্ষমা দান করতে পারেন।
32. আমরা এই সবের সাক্ষী এবং যারা ঈশ্বরের বাধ্য হয়, ঈশ্বর তাদের যে পবিত্র আত্মা দিয়েছেন সেই পবিত্র আত্মাও তার সাক্ষী।”
33. এই কথা শুনে সেই নেতারা রেগে আগুন হয়ে গেলেন এবং প্রেরিত্দের মেরে ফেলতে চাইলেন,
34. কিন্তু গমলীয়েল নামে ফরীশী দলের একজন লোক মহাসভার মধ্যে উঠে দাঁড়ালেন। তিনি একজন ধর্ম-শিক্ষক ছিলেন এবং সবাই তাঁকে সম্মান করত। তিনি প্রেরিত্দের কিছুক্ষণের জন্য বাইরে রাখতে আদেশ দিলেন।
35. তার পরে তিনি মহাসভার লোকদের বললেন, “ইস্রায়েলীয়েরা, এই লোকদের উপরে তোমরা যা করতে যাচ্ছ সেই বিষয়ে সাবধান হও।
36. এই তো কিছু দিন আগে থুদা নামে একজন লোক এসে নিজেকে বিশেষ একজন বলে দাবি করেছিল, আর কমবেশ চারশো লোক তার সংগে যোগ দিয়েছিল। তাকে মেরে ফেলা হয়েছে এবং তার সব সংগীরা ছড়িয়ে পড়েছে। এতে তার সব কিছুই বিফল হয়েছে।
37. তারপর লোকগণনার সময়ে গালীলের যিহূদা এসে এক দল লোককে বিদ্রোহী করে তুলেছিল। সেও মারা গেছে, আর তার সংগীরাও সবাই ছড়িয়ে পড়েছে।
38. সেইজন্য এই অবস্থায় আমি তোমাদের বলছি, তোমরা এই লোকদের উপর কিছু কোরো না। এদের ছেড়ে দাও, কারণ এদের উদ্দেশ্য ও কাজকর্ম যদি মানুষ থেকে হয়ে থাকে তবে তা ধ্বংস হবে।
39. কিন্তু যদি ঈশ্বর থেকে হয়ে থাকে তবে তোমরা এদের থামাতে পারবে না। হয়তো দেখবে তোমরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করছ।”
40. তখন গমলীয়েলের কথায় নেতারা একমত হলেন। তাঁরা প্রেরিত্দের ভিতরে ডেকে এনে বেত মারতে আদেশ দিলেন। তার পরে তাঁরা তাঁদের ছেড়ে দিলেন এবং আদেশ দিলেন যেন তাঁরা যীশুর বিষয়ে কোন কথা না বলেন।
41. এতে যীশুর নামের জন্য প্রেরিতেরা যে অপমান ভোগ করবার যোগ্য হয়েছেন সেইজন্য আনন্দ করতে করতে তাঁরা মহাসভা ছেড়ে চলে গেলেন।