16. যিরূশালেমের আশেপাশের গ্রামগুলো থেকে অনেক লোক তাদের রোগীদের এবং মন্দ আত্মার হাতে কষ্ট-পাওয়া লোকদের এনে ভিড় করতে লাগল, আর তারা সবাই সুস্থ হল।
17. তখন মহাপুরোহিত ও তাঁর সংগের সদ্দূকী দলের লোকেরা হিংসায় জ্বলে উঠলেন।
18. তাঁরা প্রেরিত্দের ধরে সরকারী জেলে দিলেন।
19. কিন্তু রাতের বেলায় প্রভুর একজন দূত জেলের দরজাগুলো খুলে তাঁদের বাইরে এনে বললেন,
20. “যাও, উপাসনা-ঘরে দাঁড়িয়ে লোকদের কাছে অনন্ত জীবন সম্বন্ধে সমস্ত কথা বল।”
21. তাঁরা সেই কথামত খুব সকালবেলা উপাসনা-ঘরে ঢুকে লোকদের শিক্ষা দিতে লাগলেন।এদিকে মহাপুরোহিত ও তাঁর সংগের সদ্দূকীরা মহাসভা ডাকলেন, অর্থাৎ ইস্রায়েলীয় বৃদ্ধ নেতাদের গোটা দলটিকে ডাকলেন। তারপর তাঁরা প্রেরিত্দের নিয়ে আসবার জন্য কয়েকজন কর্মচারী পাঠালেন,
22. কিন্তু সেই কর্মচারীরা জেলখানায় গিয়ে সেখানে তাঁদের পেল না।
23. তখন তারা ফিরে গিয়ে এই খবর দিল, “আমরা দেখলাম জেলের দরজায় শক্ত করেই তালা দেওয়া আছে এবং দরজায় দরজায় পাহারাদার দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু দরজা খুলে কাউকেই ভিতরে দেখতে পেলাম না।”
24. এই কথা শুনে উপাসনা-ঘরের প্রধান কর্মচারী ও প্রধান পুরোহিতেরা বুদ্ধিহারা হয়ে ভাবতে লাগলেন এর ফল কি হবে।
25. তখন একজন লোক এসে বলল, “দেখুন, যে লোকদের আপনারা জেলে দিয়েছিলেন তারা উপাসনা-ঘরে দাঁড়িয়ে লোকদের শিক্ষা দিচ্ছে।”
26. তখন প্রধান কর্মচারী তাঁর অধীন কর্মচারীদের নিয়ে গিয়ে প্রেরিত্দের ধরে আনলেন। কিন্তু লোকেরা সেই কর্মচারীদের পাথর মারতে পারে সেই ভয়ে তারা প্রেরিত্দের উপর কোন জবরদস্তি করে নি।
27. প্রেরিত্দের এনে তারা মহাসভার সামনে দাঁড় করাল। তখন মহাপুরোহিত প্রেরিত্দের বললেন,