2. লোকেরা প্রত্যেক দিন একজন লোককে বয়ে এনে উপাসনা-ঘরের সুন্দর নামে দরজার কাছে রাখত। সে জন্ম থেকেই খোঁড়া ছিল। যারা উপাসনা-ঘরে যেত তাদের কাছে ভিক্ষা চাইবার জন্য তাকে সেখানে রাখা হত।
3. পিতর ও যোহনকে উপাসনা-ঘরে ঢুকতে দেখে সে তাঁদের কাছে ভিক্ষা চাইল।
4. পিতর ও যোহন সোজা তার দিকে তাকালেন। তার পরে পিতর বললেন, “আমাদের দিকে তাকাও।”
5. তখন সেই লোকটি তাঁদের কাছ থেকে কিছু পাবার আশায় তাঁদের দিকে তাকাল।
6. তখন পিতর বললেন, “আমার কাছে সোনা-রূপা কিছু নেই, কিন্তু যা আছে তা-ই তোমাকে দিচ্ছি। নাসরতের যীশু খ্রীষ্টের নামে উঠে দাঁড়াও ও হাঁট।”
7. পরে তিনি লোকটির ডান হাত ধরে তাকে তুললেন আর তখনই তার পা ও গোড়ালি শক্ত হল।
8. সে লাফ দিয়ে উঠে দাঁড়াল এবং হাঁটতে লাগল। পরে সে হাঁটতে হাঁটতে, লাফাতে লাফাতে এবং ঈশ্বরের প্রশংসা করতে করতে তাঁদের সংগে উপাসনা-ঘরে গেল।
11. ভিখারীটি কিন্তু পিতর ও যোহনের পিছু ছাড়ল না। লোকেরা পিতরের সেই কাজে আশ্চর্য হয়ে তাঁদের কাছে দৌড়ে আসল।
12. শলোমনের নামে যে বারান্দা ছিল তাঁরা তখন সেখানে ছিলেন। এই ব্যাপার দেখে পিতর লোকদের বললেন, “ইস্রায়েলীয়েরা, এতে আপনারা আশ্চর্য হচ্ছেন কেন? আমাদের নিজেদের শক্তিতে বা ঈশ্বরের প্রতি ভক্তির গুণে একে চলবার শক্তি দিয়েছি মনে করে কেনই বা আপনারা আমাদের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন?
13. অব্রাহাম, ইস্হাক ও যাকোবের ঈশ্বর, অর্থাৎ আমাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর এই কাজের দ্বারা নিজের দাস যীশুর মহিমা প্রকাশ করেছেন। আপনারা তো যীশুকে মেরে ফেলবার জন্য ধরিয়ে দিয়েছিলেন। পীলাত তাঁকে ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু আপনারা পীলাতের সামনে তাঁকে অস্বীকার করেছিলেন।
14. আপনারা সেই পবিত্র ও ন্যায়বান লোকটিকে অস্বীকার করে একজন খুনীকে আপনাদের কাছে ছেড়ে দিতে বলেছিলেন।
15. যিনি জীবনদাতা তাঁকেই আপনারা মেরে ফেলেছিলেন, কিন্তু ঈশ্বর মৃত্যু থেকে তাঁকে জীবিত করে তুলেছেন; আর আমরা তার সাক্ষী।